মানিকছড়ি (খাগড়াছড়ি) বাজার ঘুরে: বাজারের অন্যসব মরিচের চেয়ে আকারে অনেকটাই ছোট। বাইরে থেকে হৃষ্টপুষ্ট মনে না হলেও স্বাদ নিতে ‘কামড়’ দিলেই জাত চিনিয়ে দেবে ‘সাইজ ডাজন্ট মেটার’।
বলছি বাঙালির কাছে পরিচিত ‘ধাইন্যা’ মরিচের কথা। তবে ঝালের গুণের জন্যই পাহাড়িদের কাছে বেশ জনপ্র্রিয় এ মরিচ পরিচিত ‘সুমরিচ’ নামে। আকারের কারণে কেউ-কেউ এর নাম জানান ‘খুইদ্যা’ মরিচ।
পাহাড়ি এলাকায় বিশেষ করে খাগড়াছড়ি, রাঙামাটি, বান্দরবান এলাকায় জুম চাষের মতো চাষ করা হয় এ জাতের মরিচ। ক্ষুদ্রাকৃতির এ মরিচের রং অনেকটাই হলুদ। রয়েছে কিছুটা সবুজ ছোপ। পাকা মরিচের রং লাল।
দৃঢ় ও শক্ত বোঁটার এ জাতের মরিচের আকার ও বোঁটা প্রায় সমান বলা যায়। বোঁটার দিকের অংশ গোলাকৃতির। এ মরিচের বিষয়ে মানিকছড়ি বাজারে স্থানীয় বিক্রেতা বিল্লাল হোসেনের (৩২) মন্তব্য, তীব্র ঝালের কারণে পাহাড়িদের কাছে বেশ জনপ্রিয় এ মরিচ। আকারে ছোট হলেও এর একটি মরিচের স্বাদ নেওয়া আপনার পক্ষে কষ্টসাধ্য।
প্রায় আধাকেজি পরিমাণ মরিচ দেখিয়ে পঞ্চাশোর্ধ্ব এক বিক্রেতা বলেন, দুইজন পাহাড়ি অনায়াসেই এ মরিচ একবেলাতেই খেয়ে ফেলতে পারবেন।
সেপ্টেম্বর-অক্টোবর মাসে এ জাতের মরিচের চাষ হয়। তবে আগের চেয়ে এখন চাষ কমেছে বলে জানান বিল্লাল। পুরো বাজার ঘুরে মাত্র দুই দোকানেই এ মরিচের দেখা পাওয়া গেলো। যা এ জাতের মরিচের চাষ কমে যাওয়ার সত্যতারই জানান দেয়।
দামের বিষয়ে জানতে চাইলে এ বিক্রেতা বলেন, খুচরা বাজারে প্রতি কেজি মরিচ ১৫০-১৬০ টাকা। যার পাইকারি মূল্য ১১০ টাকা।
** মেঘের ভেলায় ভেসে মেঘ-পাহাড়ের দেশে
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৪, ২০১৬
জেডএস/টিআই