খাগড়াছড়ি থেকে: ডালা ভরা তাজা তরিতরকারি। রাস্তার দু’পাশে হরেক সবজির পসরা সাজিয়ে বসে আছেন পাহাড়ি-বাঙালি।
আদা ফুল, হলুদ ফুল, মেষক ফুল, পুঁইশাক ফুল- থোকায় থোকায় এসব ফুলের হরেক সৌন্দয আকর্ষণীয় করে তুলেছে খাগড়াছড়ির কেন্দ্রীয় মসজিদ রোডের জুম চাষিদের এই বাজারটিকে। জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ফুল এবং হরেক পণ্য নিয়ে বসা এই বাজারটি পর্যটকদের কাছেও অতি আকর্ষণীয়।
৫/৬টি হলুদ ফুল দিয়ে সাজানো একেকটি থোকার মূল্য ৫ টাকা, আর ৮/১০টি আদা ফুলের থোকার মূল্য ১০-১৫ টাকা। মেষক ফুল বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা কেজি। বাজারের প্রায় প্রত্যেক বিক্রেতার পণ্যের পসরায় মেলে এসব ফুল।
সাধারণভাবে রান্না এবং ভেজে খাওয়ার পাশাপাশি সাদা ও বেগুনি বর্ণের হলুদ ফুলের চাহিদা অনন্য। আর যে কোনো তরকারিতে বাড়তি স্বাদ ও গন্ধের জন্য কাঁচা মরিচের আকৃতিতে সবুজ রঙা আদা ফুলের কুড়ির জুড়ি নেই বলে জানাচ্ছিলেন স্থানীয়রা।
সদর উপজেলার মাটিরাঙা থেকে সবজির পাশাপাশি আদা ও হলুদ ফুল নিয়ে এসেছেন দিমল ত্রিপুরা। বাংলানিউজকে বলেন, খাবারে এই ফুলে আকর্ষণীয় ফ্লেভার পাবেন।
তিনি বলেন, পাহাড়ে জুম চাষের মাধ্যমে উৎপাদিত আদা ও হলুদ গাছ থেকে এসব ফুল উৎপাদিত হয়। সাধারণত বর্ষাকালে এসব ফুল ফোটে।
পাইকারি বিক্রেতা আনোয়ার হোসেন জানান, টক তৈরির জন্য ব্যবহার হয় মেষক ফুল। এই ফুল এখান থেকে চলে যায় চট্টগ্রাম ও ঢাকায়।
পাহাড়ি এবং বাঙালিদের পাশপাশি খাগড়াছড়িতে আসা পর্যটকরাও তাজা সবজি এবং বিভিন্ন ফুল কিনে রান্না করে খান বলে জানান আনোয়ার।
সাপ্তাহিক পূর্ণ দিবস খাগড়াছড়ির এই হাট বসে বৃহস্পতিবার। সকাল থেকে প্রায় আধা কিলোমিটার জুড়ে রাস্তার দু’পাশে জড়ো হয়েছেন বাঙালি-পাহাড়ি ক্রেতা-বিক্রেতারা। মঙ্গলবার অর্ধদিবস হাট বসলেও তা বেশি জমে না। অন্য বাজার থেকে এখানকার বিশেষত্ব হলো; এখানে পণ্য মেলে একেবারে টাটকা এবং দামেও সস্তা।
** ভরা মৌসুমে পর্যটক টানছে পাহাড় ঘেরা খাগড়াছড়ি
** পাহাড়ে উদ্ভাবিত ফলের জাত ছড়াচ্ছে সারাদেশে
বাংলাদেশ সময়: ২১৫৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৪, ২০১৬
এমআইএইচ/আরআই