খাগড়াছড়ি থেকে: আড়াই লাখ বাতির আলোয় আলোকিত হলো সেই বনবিহার। একই সঙ্গে ছিল প্রবারণা পূর্ণিমার ফানুশও।
শুক্রবার (১৪ অক্টোবর) খাগড়াছড়ি-পানছড়ি সড়ক থেকে মূল আর্য্য বনবিহার পর্যন্ত রাস্তার দু’পাশে কলাগাছের ওপর বাঁশের ছোট্ট শলাকা দিয়ে তৈরি বিশেষ বাতি ও মোমবাতিতে অন্যরূপ ধারণ করে।
স্থানীয় হাজারও দায়ক-দায়িকা ছাড়াও দূরদূরান্ত থেকে অনেক মানুষ আসেন বাতি জ্বালাতে। ছিলেন অনেক পর্যটকও।
বাতি জ্বালানোর পর মহাবোধি ভান্তের মন্ত্র পাঠোত্তর শুরু হয় ফানুশ ওড়ানো। এ সময় মং’র বাজনার পাশাপাশি হাজারো নারী-শিশু-তরুণের কণ্ঠে ‘বুদ্ধ কি জয়’, ‘সংঘ কি জয়’ ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে ওঠে পুরো এলাকা।
কল্যাণ কীর্তি স্থবির বাতি জ্বালানোর সময় বাংলানিউজকে বলেন, তিন মাস বর্ষাবাস শেষে এলো প্রবারণার দিন। এ তিন মাস প্রতি রাতেই বিহারে ছিলাম। আজ আমাদের খুশির দিন। এ উপলক্ষে প্রতি বছর এ মন্দিরে প্রবারণা পূর্ণিমা ও ৮৪ হাজার প্রদীপ প্রজ্বালন হয়ে আসছে। এবার আড়াই লাখ বাতিদান করেছেন বৌদ্ধরা।
বেবি চাকমা (২০) বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের ভিক্ষুরা বর্ষাবাস শেষ করেছেন। এ উপলক্ষে বিহারে ৮৪ হাজার প্রদীপ প্রজ্বালন কর্মসূচি থাকে। যা অত্যন্ত আকর্ষণীয় ও আনন্দের।
তিনি বলেন, বাতি ও ফানুশের মাধ্যমে অনেকে অনেক ধরনের ইচ্ছে পোষণ করেন। আমি ভগবান বুদ্ধের কাছে বিশ্বশান্তির পাশাপাশি দেশে জঙ্গিবাদের যে সমস্যা দেখা দিয়েছে তা থেকে পরিত্রাণ চেয়েছি।
** ৮৪ হাজারের বেশি বাতি জ্বলবে যে বনবিহারে
** কোমর তাঁতে মুগ্ধ পর্যটক
বাংলাদেশ সময়: ২২১৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৪, ২০১৬,
এআর/এমজেএফ/