খাগড়াছড়ি থেকে: খাগড়াছড়ি শহর থেকে মাত্র চার কিলোমিটার দূরে জিরোমাইল এলাকায় পাহাড়ের চূড়ায় অবস্থিত নয়নাভিরাম খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদ পার্ক।
দু’টি পাহাড়কে একটি ঝুলন্ত ব্রিজের মাধ্যমে সংযুক্ত করে ২২ একর জায়গা জুড়ে ২০১১ সালে এ পার্কটি স্থাপিত হয়েছে।
এর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য অত্যন্ত মনোরম। প্রাকৃতিকভাবে বেড়ে ওঠা গাছগাছালি ছাড়াও জেলা পরিষদের উদ্যোগে পরিকল্পিতভাবে এখানে বিভিন্ন জাতের ফলের গাছ লাগানো হয়েছে।
এ পার্কে দেখতে পাবেন প্রচুর আম, শুপারি, নারকেল, কাঁঠাল, পেয়ারা, লেবু, জাম্বুরা, জলপাই, কামরাঙ্গাসহ বিভিন্ন প্রকার ফলদ গাছ। পার্কটির সবচেয়ে আকর্ষণীয় দিক হলো এর ঝুলন্ত ব্রিজ। ৪ ফুট চওড়া ও প্রায় ২৫০ ফুট লম্বা ব্রিজটিতে রয়েছে নাইলনের নেটের রেলিং। ফলে চলাচলের সময় ব্রিজটি ঝুললেও পর্যটকদের পড়ে যাওয়ার ভয় নেই।
পার্কটির একটি দোকান শোভা কুলিং কর্ণারের মালিক শোভা চাকমা বাংলানিউজকে জানান, শহরের কাছাকাছি হওয়ায় এখানে প্রচুর পর্যটক আসেন। প্রায়শ পার্কটিতে বিভিন্ন নাটক ও শর্ট ফিল্মের শুটিং হয়।
ঝুলন্ত ব্রিজ পার হয়ে দ্বিতীয় পাহাড়ে গেলে সেখানে রয়েছে একটি কিডস কর্নার ও একটি ট্রেন। এ দুটি উদ্বোধন করা হলেও কিডস কর্নার ও ট্রেনের আশেপাশের উন্নয়ন কাজ চলছে। শিগগিরই জনসাধারণের জন্য এ দু’টি উন্মুক্ত করা হবে।
পার্কটি সকাল ৮টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত খোলা থাকে। পার্কটিতে রয়েছে একাধিক কটেজ, গোলঘর ও পিকনিক কর্নার। নির্দিষ্ট অর্থের বিনিময়ে পিকনিকের জন্য যে কেউ স্পটটি ভাড়া নিতে পারেন।
খাগড়াছড়ি কবিলা ব্রিজ এলাকা থেকে পার্কটিতে বেড়াতে আসা শামীমা আক্তার জানালেন, পার্কটি তার খুবই ভালো লেগেছে। সময় পেলেই এখানে তিনি বেড়াতে আসেন।
কীভাবে যাবেন:
খাগড়াছড়ি জেলা সদর থেকে রিকশা, অটোরিকশা কিংবা ইজিবাইকে সহজেই এ পার্কে আসা যায়। পাহাড়ের গোড়ায় যানবাহন রেখে খাড়া ইটের রাস্তা বেয়ে পাহাড়ের উপরে এ পার্কে প্রবেশ করতে হয়।
** জার্নি টু সাজেক
** সর্পিল পথের বাঁকে বাঁকে ভয়ঙ্কর সৌন্দর্য
** ‘ধরলে বলবেন পর্যটক’
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৫, ২০১৬
এমআই/এমজেএফ/