রাঙ্গামাটি থেকে: পাহাড় প্রকৃতির রূপসীকণ্যা রাঙ্গামাটির কাপ্তাই লেক আফ্রিকা মহাদেশের ভিক্টোরিয়া লেক থেকে অনেক সুন্দর, মনোরম ও দৃষ্টিনন্দন বলে মনে করেন রাঙ্গামাটি জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শহিদউল্লাহ।
আবাসন এবং পরিবহন ব্যবস্থার উন্নয়ন করে এখানে আসা পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে কাপ্তাই লেকের সুস্বাধু বিভিন্ন প্রজাতির মাছ দিয়ে আপ্যায়ন করলে আরও ভূমিকা রাখতে পারে বলে পরামর্শ এএসপি’র।
শনিবার (১৫ অক্টোবর) নিজ দপ্তরে বাংলানিউজের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। আর পর্যটন বর্ষ নিয়ে বাংলানিউজের ‘বছরজুড়ে দেশঘুরে’ উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা এসেছে তার মুখে।
তানজানিয়া, কেনিয়া এবং উগান্ডার মধ্যবর্তী স্থানে একটি উচ্চ মালভূমির অবস্থিত ভিক্টোরিয়া হ্রদটি পৃথিবীর তৃতীয় এবং আফ্রিকা মহাদেশের মধ্যে বৃহত্তম।
জাতিসংঘে শান্তি মিশনে কাজ করার সময় ভিক্টোরিয়া লেকে যাওয়ার সুযোগ হয়েছিল জানিয়ে বিসিএস ২৪ ব্যাচের এই কর্মকর্তা বলেন, রাঙ্গামাটির কাপ্তাইয়ের কাছে ভিক্টোরিয়া লেকের সৌন্দর্য কিছুই না। ভিক্টোরিয়া লেকের রেস্টুরেন্টে তেলাপিয়া মাছের গ্রিল তৈরি করে পর্যটকদের খাওয়ানো হয়।
ভিক্টোরিয়া লেকের সঙ্গে তুলনা দিয়ে অতিরিক্তি পুলিশ সুপার বলেন, অথচ আমাদের এখানে (কাপ্তাই লেক) মাছের কোনো অভাব নেই। রুই, কাতলা, বাছা, আইড়- ইত্যাদি মাছ দিয়ে খুব সহজেই পর্যটকদের আপ্যায়ন করতে পারি। কাপ্তাই লেকের ভবিষ্যত সম্ভাবনা নিয়েও আশাবাদী এই পুলিশ কর্মকর্তা।
তিনি বলেন, দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসার যোগাযোগ ব্যবস্থা আরও ভাল করা, পরিবহন সংকট দূর এবং আবাসনের ব্যবস্থা করলে পর্যটকদের ভিড় আরও বাড়বে।
দেশ এবং দেশের সম্পদকে তুলে ধরতে বড় বড় উদ্যোক্তাদের রাঙ্গামাটিসহ পার্বত্য এলাকায় পর্যটনখাতে বিনিয়োগ করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, এজন্য আমাদের পক্ষ থেকে সব রকম সহায়তা দেব।
পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে পলওয়েল ন্যাচারাল পার্কের নানা দিক তুলে ধরে তিনি বলেন, এটাকে সি-বিচ বলা যেতে পারে। সমুদ্র সৈকতের মত এখানে পানি এবং বড় বড় ঢেউ আসে।
রাঙ্গামাটি শহরের রিজার্ভ মুখ এলাকায় (ডিসি বাংলোর পাশে) লেক-পাহাড়-আকাশের মহামিলনের স্থলটি পর্যটন প্রেমিদের কাছে অত্যন্ত আকর্ষণীয় বলে জানান শহিদউল্লাহ।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৪৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৬, ২০১৬
এমআইএইচ/বিএস