জুরাছড়ি (রাঙামটি) ঘুরে: বড় আকারের পানে বাঙালি ‘মজলেও’ তাতে অভ্যস্ত নন পাহাড়িরা। পান বলতে তাদের কাছে বোঝায় ‘ছোট পান’, যা মিষ্টি পান বলেও তাদের কাছে সমাদৃত।
রাঙামাটি শহরের লঞ্চঘাট থেকে ট্রলারযোগে জুরাছড়ি উপজেলায় নেমে সামনে এগুলেই হাতের ডানে পড়বে আলির হোটেল। সেই হোটেলের সামনে ছোট একটি দোকানে খোঁজ মিললো ছোট পানের।
এ সময়েই দেখা গেলো দু’জন চাকমা সবেমাত্র পানের ঝুড়ি পিঠে নিয়ে শহরে প্রবেশ করেছেন। তাদের কাছেই জানা গেলো ছোট পানের বিষয়ে।
কোথা থেকে আনলেন এ পান, উত্তরে তারা জানান, পানছড়ি পাহাড় থেকে প্রতিদিন এ পান সংগ্রহ করা হয়। মিষ্টি পান নামেও এর পরিচিতি রয়েছে।
কেজি হিসেবে এ পান জুরাছড়ি বাজারে পাইকারি বিক্রি করা হয়। গড়ে প্রতিদিন ৭-৯ কেজি পান সংগ্রহ করা সম্ভব হয়। বাজারে তা মানভেদে ৮০-৯০ টাকায় বিক্রি করা হয়। চাহিদাও বেশ ভালো। তবে দেশি পানের মতো সতেজ রাখতে এ পানের উপর পানি ছিটাতে দেখা গেলো।
সাধারণ পানের মতো আকৃতির ‘ছোট পান’ দুই থেকে তিন ইঞ্চির বেশি লম্বা দেখা গেলো না। এর বেশি বড় হয়না বলেও জানান তারা। তবে পানের চেয়ে বোঁটার আকার বেশ বড়।
সত্তরোর্ধ্ব পান বিক্রেতা নুরূল কবির জানান, পাহাড়িরা ছোট পানে অভ্যস্ত। তবে বাঙালিরা তেমন একটা পছন্দ করেন না। বিক্রি কেমন জানতে চাইলে বলেন, এখন কম। দিনে ৪-৫শ’ টাকা বিক্রি হয়। মুনাফা থাকে দুই থেকে আড়াইশ’ টাকা।
তবে সবচেয়ে মজার অভিজ্ঞতা হয় যখন পাঁচ টাকার বিনিময়ে এক খিলি পান খেতে দেওয়া হয়। খিলি গুনে দেখা যায়, একেকটিতে কমপক্ষে ১১টি, আবার ১৩টি পানও রয়েছে।
দেশের বৃহত্তম ও রিকশাবিহীন একমাত্র শহর রাঙামাটি সদর থেকে অটোরিকশায় পৌঁছাতে পারেন রিজার্ভ বাজার। সেখান থেকে একটু সামনে এগুলেই লঞ্চঘাটে প্রতিদিন সকাল সাড়ে ৭টায় ট্রলারে করে পৌঁছানো যাবে জুরাছড়ি। প্রায় তিনঘণ্টা সময়ে ৭০ টাকা ভাড়ায় আপনাকে এ ট্রলারই নিয়ে আসবে দুপুর দেড়টা নাগাদ। তবে ফিরতি পথেও গুনতে হবে আরো ৭০ টাকা ভাড়া।
দ্বিতীয় ট্রলারটি লঞ্চঘাট থেকে দুপুর দেড়টা নাগাদ জুরাছড়ির পথে ছেড়ে গেলেও তা ফিরতি পথ ধরবে পরের দিন সকাল সাড়ে ৭টায়।
** ব্রিজের সঙ্গে পর্যটন ডুবেছে কাপ্তাই লেকে
** ‘রিছাংবান্ধব’ নন পর্যটকরা!
** রিছাং রোমাঞ্চ!
** মেঘের ভেলায় ভেসে মেঘ-পাহাড়ের দেশে
** ঝালেই পাহাড়িদের পছন্দ ‘সুমরিচ’
বাংলাদেশ সময়: ১১৩৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৭, ২০১৬
জেডএস/এসআর