মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) বাংলানিউজকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে এ মন্তব্য করেন সাতক্ষীরায় সম্প্রতি যোগদান করা এ পুলিশ সুপার।
এখানে যোগ দেওয়ার আগে এসেছিলেন সুন্দরবনের সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য।
আলতাফ হোসেন বলেন, সাতক্ষীরার সুন্দরবনের রূপ একেক জায়গায় একেক রকম। যা অনেকটাই রয়েছে আনটাচ এবং খুবই উপভোগ্য। কিন্তু নৌ যোগাযোগের জন্য কোনো নির্দিষ্ট নৌবন্দর না থাকায় এ অঞ্চলের পর্যটন বিকশিত হচ্ছে না।
পর্যটকরা খুলনা ও বাগেরহাট থেকে জাহাজে উঠে সুন্দরবন পর্যবেক্ষণে যাচ্ছে। আর অবহেলিত পড়ে থাকছে সাতক্ষীরা- মন্তব্য করেন তিনি।
‘মুন্সীগঞ্জ এলাকায় কোথাও যদি জেটি স্থাপন করা যায় তাহলে এখানে জাহাজ ভিড়তে পারবে। আর এটা করা গেলেই সাতক্ষীরার চেহারা পাল্টে যাবে। ’
এ পুলিশ সুপারের মতে, সাতক্ষীরার পর্যটনের আরেকটি অন্যতম বাধা হচ্ছে ভাঙাচোরা সড়কের যোগাযোগ ব্যবস্থা। যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন ছাড়া পর্যটন বিকাশ সম্ভব নয়। সুন্দরবন যাওয়ার আনন্দ পথেই মাটি হয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড তাদের সাধারণ স্পর্টগুলোকে ঘষামাজা করে অসাধারণভাবে বিশ্ববাসীর সামনে তুলে ধরেছেন। আর আমরা অসাধারণ জায়গাগুলোকেও তুলে ধরতে পারছি না। স্রষ্টার অপার সৃষ্টি সুন্দরবনকে আমরা সঠিকভাবে কাজে লাগাতে পারছি না।
আমাদের দেশটা এগিয়ে নেওয়ার জন্য ব্রান্ডিং প্রয়োজন। এ জন্য বাংলানিউজের পর্যটন বিষয়ক উদ্যোগের প্রশংসাও করেন পুলিশ সুপার।
পুলিশ সুপারের কাছে প্রশ্ন ছিল সাতক্ষীরায় আপনার চ্যালেঞ্জ কী। জবাবে বলেন, জঙ্গিবাদ দমন করাটাই প্রধান চ্যালেঞ্জ। কারণ এ জায়গার একটা দুর্নাম হয়ে গেছে। এ দুর্নাম দূর করা।
জঙ্গিবাদ দমনে জনসচেতনতা সৃষ্টিতে জোর দিচ্ছেন তিনি। এর পাশাপাশি সংস্কৃতি চর্চায় গুরুত্ব দিচ্ছেন। সংস্কৃতির বিকাশ হলে জঙ্গিবাদ দূর হবে বলেও মনে করেন এ পুলিশ সুপার। যে কারণে সাংস্কৃতি চর্চ্চায় পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে যাচ্ছেন তারা।
চাকরির স্বাভাবিক নিয়মে এখানে এসেছেন। একদিন আবার চলেও যেতে হবে। এ কথা সব সময় মনে রাখেন। তবে যাওয়ার আগে সুন্দর জঙ্গিবাদমুক্ত সাতক্ষীরা দেখতে চান। এ জন্য সবাইকে নিয়ে পথ চলতে চান।
তিনি বলেন, আমি যতদিন আছি পুলিশ সুপারের দরজা থাকবে সবার জন্য খোলা। ফোন এবং ফেসবুকে পাওয়া যে কোনো অভিযোগের তাৎক্ষণিক প্রতিকার পাবে জনগণ।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৫, ২০১৬
এসআই/এসএইচ/এএ