ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ভোটের-কথা

পঞ্চগড়-২: মনোনয়ন প্রত্যাশীদের দেখা নেই এলাকায়

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১০৯ ঘণ্টা, জুন ৯, ২০১৭
পঞ্চগড়-২: মনোনয়ন প্রত্যাশীদের দেখা নেই এলাকায় মনোনয়ন প্রত্যাশীদের দেখা নেই এলাকায়

পঞ্চগড় থেকে: পঞ্চগড়-২ আসনে ভোটারদের ওপর থেকে কালো মেঘ যেন কাটছেই না। মনোয়ন প্রত্যাশীদের কাছেও কদর যেন খুব একটা নেই ভোটারদের। আর তাই রমজান মাসের প্রায় অর্ধেক পার হয়ে গেলেও কোনো মনোনয়ন প্রত্যাশীর দেখা পায়নি পঞ্চগড়-২ আসনের প্রায় ৩ লাখ ভোটার।

আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে পঞ্চগড়-২ আসনে বর্তমান নির্বাচিত সংসদ সদ্য (এমপি) অ্যাডভোকেট নুরল ইসলাম সুজন, বিএনপি সমর্থিত সম্ভাব্য মনোনয়ন প্রত্যাশী ফরহাদ হোসেন আজাদ ও আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে অপর মনোনয়ন প্রত্যাশী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ডা. মো. শাহ্জাহান কারোই দেখা পাওয়া যায়নি নির্বাচনী এলাকায়।

দেবীগঞ্জ উপজেলার কলেজ পড়ুয়া যুবক আবদুল কাইয়ুম বলেন, ভোটের সময় এলেই আমাদের কাছে প্রার্থীরা আসেন ভোট চাইতে।

তখনই আমাদের কদর তাদের কাছে পাওয়া যায়। কিন্তু ভোট পার হয়ে গেলেই আমাদের কথা কেউ মনে রাখে না। এই যে রমজান মাস যাচ্ছে, আমাদের খোঁজ খবর নিতেও তো কেউ আসেন না এলাকায়। ঈদের দু’একদিন আগে কেউ কেউ আসতে পারেন যাকাতের শাড়ি-পাঞ্জাবি দিতে। কিন্তু শাড়ি-পাঞ্জাবি দিয়েতো মানুষের মন পাওয়া যায় না।

কিন্তু কোথায় আছেন পঞ্চগড়-২ আসনের দুই দলের মনোনয়ন প্রত্যাশীরা! তাদের প্রত্যেকেই অবস্থান করছেন ঢাকায়।  
তবে নির্বাচনী এলাকার তুলনায় ঢাকায় বেশি সময় কাটানোর ঘটনা অস্বীকার করেছেন মনোনয়ন প্রত্যাশী তিনজনই।

বর্তমানে এমপি অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম সুজন জানান, আইনজীবী হওয়ায় তাকে ঢাকায় কিছুটা বেশি সময় কাটাতে হয়। তবে সপ্তাহে দু’একদিন বোদা ও দেবীগঞ্জের মানুষের সঙ্গে সময় কাটান তিনি।  
 
অন্যদিকে বিএনপির দলের মনোনয়ন প্রার্থী ফরহাদ হোসেন আজাদের স্ত্রী-সন্তান থাকেন ঢাকায়। তাই তার ঢাকায় থাকা হয় বেশি। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় রাজনীতিতে বেশি সময় দিতে চান তিনি- এমন অভিযোগ এলাকাবাসীর।

তবে এসব বিষয়ে ফরহাদ হোসেন আজাদ বলেন, আমি বেশিরভাগ সময়ই এলাকায় থাকি। কিন্তু একটা জরুরি কাজে ঢাকা এসেছি। কয়েক দিনের মধ্যেই আবার এলাকায় ফিরে যাবো।

অন্যদিকে অসুস্থ্যতার কারণে ঢাকায় রয়েছেন নৌকা প্রতীকের প্রত্যাশী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ডা. মো. শাহ্জাহান। তিনি বলেন, আমার শরীর একটু খারাপ। তাই চিকিৎসার জন্য ঢাকায় এসেছি। যতো দ্রুত সম্ভব দেবীগঞ্জে ফিরে যাবো।  

কেন মনোনয়ন প্রার্থীরা এলাকায় অবস্থান না করে ঢাকায় বেশি থাকেন- এমন প্রশ্নে সরাসরি মন্তব্য করতে রাজি হননি স্থানীয় নেতা কর্মীরা।

বোদা উপজেলার ভোটার রাম মোহন বলেন, মনোনয়ন প্রত্যাশীরা এলাকায় থেকে কি করবে। তাদের কাছে সাধারণ ভোটারের তুলনায় ঢাকায় বসে উচ্চপদস্থ নেতাদের সঙ্গে লবিং করাই বেশি জরুরি। সাধারণ মানুষ কি চায়, তা তাদের কাছে বড় বিষয় নয়।

তবে বোদা ও দেবীগঞ্জ এলাকার ভোটাররা জানান, নির্বাচনের সময় ব্যালটের মাধ্যমে জবাব দেয়া হবে প্রার্থীদের। যেসব প্রার্থীরা তাদের সুখ দু:খের সময় পাশে থাকবেন ভোটাররাও নির্বাচনের সময় সেসব প্রার্থীর পাশে থাকবেন।  

বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৭ ঘণ্টা, জুন ০৯, ২০১৭
ইউএম/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।