ভোলা: ভোলায় কোরবানির পশুরহাট কাঁপাচ্ছে ‘জমিদার’ নামের বিশাল এক গরু। এ গরুর ওজন ১৫ মণ।
পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নের মাঝিরহাট থেকে গরুটি বিক্রির জন্য এনেছেন আমির হোসেন নামের এক খামারি।
সদরের ব্যাংকেরহাট গরুরহাটে লাল-কালো রঙের বিশালাকৃতির গরু দেখতে হাতে উৎসুক জনতা ভিড় জমায়।
কারণ ‘জমিদার’ই ওই হাটের মধ্যে সবচেয়ে বড় এবং দামি। আর তাই সবার নজর জমিদারের দিকেই।
খামারি আমির হোসেন বলেন, গরুটির নাম দেওয়া হয়েছে জমিদার। এর দাম হাঁকানো হয়েছে ৫ লাখ টাকা।
দাম বেশির কারণ হিসাবে গরুবিক্রেতা বলেন, পশু খাদ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় গরুর দাম বেড়েছে। ৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা হলে গরুটি বিক্রি করব।
গরু কিনতে আসা বেশ কয়েকজন ক্রেতা জানালেন, বিগত বছরের তুলনায় এ বছর গরুর দাম অনেকটা বেশি। বলা যায় নাগালের বাইরে।
বড় গরু জমিদার দেখতে আসা লোকমান, গিয়াস ও আলমগীর বলেন, এটি বাজারের সবচেয়ে বড় গরু। তাই দেখতে ভিড় জমছে।
এদিকে হাটে দেখা গেছে, বিভিন্ন রং ও আকারের গরুর সমাগম। এরমধ্যে দেশীয় গরু বেশি। তবে কেনাবেচা কিছুটা কম। হাট ঘুরে পছন্দের গরু কিনছেন ক্রেতারা।
ক্রেতারা বলছেন, আগামী হাটগুলোতে কেনাবেচা আরো জমে উঠবে। তখন হয়ত দাম কিছুটা নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
জানা গেছে, এ বছর জেলায় গরুর চাহিদা রয়েছে ৮৪ হাজার ৪০০টি। তবে কুরবানির জন্য প্রস্তুত রয়েছে ৯১ হাজার ১০০টি। অর্থাৎ চাহিদার চেয়েও বেশি গরু সরবরাহ রয়েছে হাটগুলোতে।
এ বছর জেলার সাত উপজেলায় ৭৩টি স্থায়ী ও অস্থায়ী হাট বসানো হয়েছে। একইসঙ্গে অনলাইন প্লাটফর্মেও ২৫ হাজার গরু বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর।
এদিকে ক্রেতা-বিক্রোতাদের নিরাপত্তায় প্রশাসনের নিরাপত্তার রয়েছে। একইসঙ্গে মনিটরিং করছে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর।
এ ব্যাপারে জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ইন্দ্রজিৎ কুমার মন্ডল বলেন, হাটগুলোতে যাতে রোগে আক্রান্ত গরু বিক্রি না হয় সেজন্য ২১ ভেটেনারি টিম বসানো হয়েছে। প্রাকৃতিক উপায়ে রিষ্ট পুষ্ট বা মোটাতাজাকরণ করা হয়েছে এসব গরু। তাই ক্ষতিকর কোনো কেমিক্যাল বা অন্য কোনো উপায়ে মোটাতাজাকরণ গরু বিক্রি করার সুযোগ নেই।
এ বছর হাটে ভারতীয় গরু না উঠলে দেশীয় গরুর ন্যায্য দাম পাবেন বলে আশাবাদী খামারিরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০৫ ঘণ্টা, জুন ২৫, ২০২৩
এসএএইচ