ঢাকা: প্রান্তিক চাষিদের জমির দলিল ছাড়া যাচাই বাছাই করে ৫ শতাংশ সুদের ঋণ কর্মসূচিতে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তারা।
বুধবার (০৩ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে শুরু হওয়া বাংলাদেশকে দুধে স্বয়ংসম্পূর্ণ করার লক্ষ্যে শতকরা ৫ ভাগ সুদে ঋণ বিতরণ কর্মসূচি মনিটরিং ও ঈদুল আযহা উপলক্ষে নিরাপদ মাংস উৎপাদনে প্রাণি সম্পদ অধিদফতরের কার্যক্রম শীর্ষক পর্যালোচনা সভায় এ আহ্বান জানানো হয়।
রাজধানীর বাংলাদেশ কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটের মিলনায়তনে প্রাণি সম্পদ অধিদফতর ও প্রাণি সম্পদ ও মৎস্য মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত হয় এ সভা।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত রয়েছেন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মোহাম্মাদ ছায়েদুল হক। বিশেষ অতিথি হিসেবে আছেন একই মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ। সভাপতিত্ব করেছেন অধিদফতরের মহাপরিচালক অজয় কুমার রায়।
উন্মুক্ত বক্তব্যে মানিকগঞ্জ জেলার সাটুরিয়া উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. নিতাই চন্দ্র দাস বলেন, এই স্বল্প ঋণ বেশি নিয়ে থাকেন প্রান্তিক চাষিরা। এদের মধ্য অনেকেরই ভিটে-বাড়ি ছাড়া আর কোনো জমি নেই। আবার অনেকের একেবারেই কিছু নেই।
এসব চাষিরা ঋণ নিতে গিয়ে সবচেয়ে বেশি বিপদে পরেন। ঋণ নিতে গিয়ে ব্যাংকের শর্তে জালে বন্দি হয়ে তারা খালি হাতে ফিরে আসেন। জমির দলিল জামানত হিসেবে না দিতে পারায় অনেক প্রকৃত চাষি এই ঋণের সুফল পাচ্ছেন না।
সুপারিশ হিসেবে তিনি জানান, এক্ষেত্রে প্রাণি সম্পদ অফিসারের সুপারিশসহ তদন্ত করে যদি তারা প্রকৃত চাষি হন তাহলে যেন তাদের ঋণ দেওয়া হয়। ব্যাংকের শর্ত শিথিল করা প্রয়োজন। এ ছাড়া অনেক ব্যাংক এই ঋণ প্রদানে খুব বেশি সহযোগিতা করে না।
সভার শুরুতে পাওয়ার পয়েন্টে ৫ শতাংশ সুদে ঋণ কর্মসূচির বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হয়। এতে জানানো হয়, শতকরা ৫ শতাংশ সুদে ঋণ প্রদানে এগিয়ে আছে ঢাকা বিভাগ (৭৩.০৭)। কম বিতরণ হয়েছে সিলেট বিভাগে (৪০.৮৬)।
অনধিক তিন মাসের মধ্য প্রজননক্ষম হতে পারে এমন বকনা বাছুর ক্রয়ের জন্য ঋণ প্রদান করা যাবে। এক্ষেত্রে দেশি জাতের বকনা বাছুরকে অগ্রাধিকার দিতে হবে।
প্রতিটি বকনা বাছুর ক্রয়ের জন্য ৪০ হাজার এবং রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ১০ হাজার টাকা ঋণ দেওয়া হয়। একজন চাষি সর্বোচ্চ চারটি বকনা বাছুর কিনতে পারবেন।
মোট ঋণ বরাদ্দের পরিমাণ ছয় হাজার ৮২৮ কোটি টাকা। বিতরণ হয়েছে চার হাজার ১৩৭ কোটি টাকা। মোট ঋণ গ্রহণকারীর সংখ্যা চার হাজার ১২১ জন। ক্রয়কৃত বকনা বাছুরের সংখ্যা সাত হাজার ৭৫১টি। কৃত্রিম প্রজননের সংখ্যা দুই হাজার ৮৫৪টি। আর ঘাস চাষ হয়েছে ৪৫৪ একরে।
সভায়, কোরবানির পশুর মাংস প্রক্রিয়াজাত করণে সতর্কতা অবলম্বনের আহ্বান জানানো হয়। বক্তারা বলেন, কোরবানির পশুর প্রক্রিয়াজাতে অবহেলা করলে মাংসে জীবাণু সংক্রমণের সম্ভাবনা থাকে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪১ ঘণ্টা, আগষ্ট ০৩, ২০১৬
একে/জিসিপি/আরআই