ঢাকা: বাংলাদেশ শ্রম আইনের প্রয়োগ থেকে শর্তসাপেক্ষে ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো (বিএটিবি) কোম্পানিকে অব্যাহতি দিয়েছে শ্রম মন্ত্রণালয়। জনস্বার্থে এই অব্যাহতি বলে সম্প্রতি একটি প্রজ্ঞাপনও জারি করা হয়েছে।
শ্রম আইনের ১০২ ধারা অনুযায়ী সপ্তাহে ৪৮ কর্মঘণ্টা নির্ধারিত থাকলেও এই প্রজ্ঞাপনবলে বিএটিবি শ্রমিককে সপ্তাহে ৬০ ঘণ্টা পর্যন্ত কাজ করাতে বাধ্য করতে পারবে। এছাড়া আইনের ১০৪ ধারা অনুযায়ী ক্ষতিপূরণমূলক সাপ্তাহিক ছুটি (অর্থাৎ কোন শ্রমিক তাহার প্রাপ্য ছুটি হতে বঞ্চিত হলে উক্তরূপ ছুটির সমসংখ্যক ছুটি) প্রদানের বাধ্যবাধকতা এবং ১১৪ (১) ধারার (শিল্প প্রতিষ্ঠান সপ্তাহে দেড় দিন বন্ধ রাখার বিধান) প্রতিপালন থেকেও কোম্পানিটিকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
এর পরিবর্তে কোম্পানিটি প্রত্যেক শ্রমিককে পর্যায়ক্রমে সপ্তাহে মাত্র ১ দিন ছুটি দেবে। একইসাথে আইনের ১০৫ ধারা অনুযায়ী একজন শ্রমিকের কর্মসময়ের সম্প্রসারণ আহার বিশ্রামের ১ ঘণ্টা বিরতিসহ দৈনিক সর্বোচ্চ ১০ ঘণ্টার অধিক না হওয়ার বিধানের প্রয়োগ থেকেও অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া স্বেচ্ছায় আগ্রহী শ্রমিকদের দ্বিগুণ মজুরি প্রদান সাপেক্ষে অতিরিক্ত সময় কাজে নিয়োগ করা যাবে বলে প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে। বাংলাদেশ শ্রম আইন, ২০০৬ এর ধারা ৩২৪ এর উপ-ধারা (১) ও উপ-ধারা (২) এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে শ্রম মন্ত্রণালয় ৬ মাস (২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬ থেকে ১৭ মার্চ ২০১৭) এর জন্য কোম্পানিটিকে এই অব্যাহতি দিয়েছে মর্মে প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে।
অব্যাহতি দেওয়ার এই সময়টা মূলত তামাক চাষ ও তামাক পাতা ক্রয়-বিক্রয়ের মৌসুম। তাই শ্রমিকদের অতিরিক্ত সময় কাজ করানোর জন্যই কোম্পানিটি এই অব্যাহতি আদায় করে নিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
তবে বিএটিবি’র পক্ষে বলা হয়েছে, সব উৎপাদনমুখী কোম্পানি যে নিয়মে চলে, বিএটিবিও সেভাবেই চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ২, ২০১৬
জেডএম