রবি মৌসুমে সবজির ফলন ভালো হয়। বর্তমানে রবি মৌসুম থাকায় সবজির ফলন বাড়তে পারে বলে ধারণা করছে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কার্যালয় থেকে জানা যায়, এ বছর কেরানীগঞ্জে খরিপ-২ মৌসুমে ১০১৫ হেক্টর এবং রবি মৌসুমে ২৩১৪ হেক্টর জমিতে সবজি চাষ হয়। এ মৌসুমে সাধারণত লালশাক, মিষ্টি কুমড়া, ডাটাশাক, পাটশাক, লাউ শাক, করলা, ঝিঙা, ধুন্দুল, সিম, ফুলকপি ও ধনেপাতা চাষ হয়। উপজেলার রুহিতপুর, হযরতপুর, কলাতিয়া, তারানগর, কোন্ডা, তেঘরিয়া ও বাস্তায় ইউনিয়নের কৃষি জমিতে এসব সবজি চাষ করা হয়েছে।
উপজেলার হযরতপুর ইউনিয়নের কৃষক আনোয়ার হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, আমি সাত শতক জমিতে একসঙ্গে ডাটা শাক, ধুন্দুল ও করলা চাষ করেছি। জমিতে মাচা বানানোর জন্য আমার এক হাজার টাকার বাঁশ কিনতে হয়েছে। এরপর মাচা বানাতে শ্রমিকদের এক হাজার টাকা মজুরি দিতে হয়েছে। তবে সার ও বীজ কিনতে বেশি টাকা লাগেনি। এখন আমার মাচায় ধুন্দুল ও করলা এবং মাচার নিচে ডাটাশাক রয়েছে। ইতোমধ্যেই আমি পাঁচ হাজার টাকার ডাটা শাক বিক্রি করেছি। আশা করছি, ধুন্দুল ও করলায়ও ভালো ফলন পাবো।
রুহিতপুর ইউনিয়নের মুগারচর এলাকার কৃষক আফজাল আলী বাংলানিউজকে বলেন, আমি দেড় একর জমিতে লালশাক চাষ করেছি। দেড় একর জমিতে আমার লালশাক চাষ করতে খরচ হয়েছে ২০ হাজার টাকা। একদফা শাক বিক্রি করে আমার প্রায় ৫০ হাজার টাকা লাভ হয়েছে।
উপজেলার রুহিতপুর এলাকার অর্গানিক চাষী শহিদুল ইসলাম রাজু বাংলানিউজকে বলেন, কেরানীগঞ্জের চাষীরা সবজি চাষ করে পুষ্টির যোগান দিচ্ছে। সরকারিভাবে বিভিন্ন সাহায্য ও সহযোগিতা পেলে আমরা আরও ভালো কাজ করতে পারবো।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা ফখরুল আলম বাংলানিউজকে জানান, এবছর খরিপ-২ ও রবি মৌসুমে প্রায় সাড়ে তিন হাজার হেক্টর জমিতে সবজি চাষ হয়েছে। এখনও রবি মৌসুমের সময় থাকায় সবজির ফলন আরও বাড়বে। কেরানীগঞ্জে যে পরিমাণ সবজি উৎপাদিত হয় তাতে কেরানীগঞ্জের সবজির চাহিদা মেটানো সম্ভব। তবে দাম ভালো পাওয়ায় অনেকে এ সবজি ঢাকায় নিয়ে বিক্রি করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২১, ২০১৭
এনটি/এসএনএস