গত দুদিন ধরে ‘জেলি-চিংড়ির’ নিয়ে হৈ চৈ পড়লে শনিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে সাভার এলাকার মাছের বাজারে একজন জেলি চিংড়ি বিক্রেতারও দেখা মেলেনি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন মাছ বিক্রেতা বাংলানিউজকে জানান, কয়েকজন দোকানি এ ধরনের জেলি চিংড়ি বিক্রি করতো।
এ সংক্রান্ত আরও নিউজ পড়ুন: **পালিয়েছে সাভারের ‘জেলি-চিংড়ি’ বিক্রেতারা
আজিজুল খুলনার ঘের থেকে জেলি দেওয়া মাছ এনে পাইকারি বাজারে বিক্রি করতেন। এসব চিংড়ির দাম অন্যান্য চিংড়ির চেয়ে তুলনামূলক কম হয়ে হওয়ায় চাহিদা খানিকটা বেশি ছিলো।
উপজেলা মৎস সিনিয়র কর্মকর্তা ফারহানা আহমেদ এ ব্যাপারে বলেন, আমরা বাজারে রুটিন মনিটরিং করে থাকি। জেলি দেওয়া মাছ বিক্রির অভিযোগে ইতিমধ্যে একজনকে আটক করা হয়েছে। তাকে ভ্যাম্যমাণ আদালতের মাধ্যেমে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ৭ দিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
জেলি চিংড়ির ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে কোনো ধারণা না থাকায় সাভার এলাকা ও এর আশপাশের ক্রেতারা বেশকিছু দিন ধরেই জেলি চিংড়ি কিনছিলেন। “এ যেন টাকা দিয়ে মৃত্যু কেনা!” শিরোনামে বাংলানিউজে প্রতিবেদন প্রকাশের পর ক্রেতাদের মাঝে কিছুটা সচেতনতা চোখে পড়ে। শনিবার সাভার এলাকার বাজারগুলোতে চিংড়ি মাছ কেনার সময় ‘জেলি চিংড়ি’ কি না তা যাচাই করে নিতে দেখা যায়।
বাংলাদেশ সময়: ১৩০০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০১৭
এমজেএফ