দূর-দূরান্ত থেকে আসা ব্যাপারীরা হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন পাল্লার ওপর। পছন্দের মাছ কিনতে ব্যাপারীরা দাম হাঁকিয়ে যাচ্ছেন।
প্রতিদিন সকাল ৬টা থেকে মাঝখানে ঘণ্টাদুয়েক বিরতি দিয়ে দুপুর ২টা পর্যন্ত আড়ৎজুড়ে চলে মাছ বেচাকেনার কর্মযজ্ঞ। সিরাজগঞ্জের প্রধান এ আড়তের ঘরগুলোতে প্রতিদিন প্রায় আড়াই কোটি টাকার মাছ বিক্রি হয়।
সরেজমিনে দেখা যায়, বনপাড়া মহাসড়ক থেকে আড়তের দিকে নেমে যাওয়া রাস্তায় মাছভর্তি সারিবদ্ধ যানবাহন। মাঝখানে ফাঁকা রেখে আড়তের চারপাশে গড়ে তোলা হয়েছে শতাধিক ঘর। পুরো অংশে বিছিয়ে দেওয়া হয়েছে ইট। আড়ৎ চলাকালে ভেতরে পা ফেলার জায়গা থাকে না। এসব আড়ৎ ঘিরে গড়ে উঠেছে বিভিন্ন খাবারের দোকান।
আড়ৎদার কৃষাণ রাজবংশী বাংলানিউজকে জানান, ১৫ বছর আগে জায়গা ভাড়া নিয়ে আড়ৎটি চালু করা হয়। প্রায় আড়াই বিঘা জমির ওপর এ আড়ৎ গড়ে তোলা হয়েছে।
তিনি জানান, এখানে শতাধিক আড়ৎদার রয়েছেন। প্রতিদিন এখানে পাঁচ শতাধিক কর্মচারী ও শ্রমিক কাজ করেন। পাল্লা প্রতি প্রত্যেক আড়ৎদারকে মাসে ১ হাজার টাকা ভাড়া দিতে হয়।
সকাল ও দুপুরের বাজার মিলে ৩ হাজারের বেশি ব্যাপারী মাছ কিনতে এ আড়তে নিয়মিত আসেন। প্রতিদিন প্রায় আড়াই কোটি টাকার বিভিন্ন প্রজাতির মাছ বিক্রি হয় এ আড়তে।
মাছের ব্যাপারী রমেশ বাংলানিউজকে বলেন, বড় বড় মাছের জন্য এ আড়তের খ্যাতি দেশজোড়া। কিন্তু আড়তে প্রবেশের রাস্তার বেহাল দশায় আমাদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। নিষ্কাশন ব্যবস্থা ভালো না হওয়ায় অনেক সময় আড়তের ভেতরে পানি জমে যায়।
তবে আড়তে চাঁদাবাজদের কোনো দৌরাত্ম্য নেই জানিয়ে রমেশ বলেন, নিরাপদ পরিবেশেই মাছ কিনে সবাই নিজ নিজ গন্তব্যে যেতে পারেন।
বাংলাদেশ সময়: ১২৪২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০১৭
এমবিএইচ/আরআর/জেডএস