ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

কৃষি

মুকুলে স্বপ্ন দেখছেন বগুড়ার আম চাষিরা

বেলাল হোসেন, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭০৩ ঘণ্টা, মার্চ ৭, ২০১৭
মুকুলে স্বপ্ন দেখছেন বগুড়ার আম চাষিরা মুকুলে স্বপ্ন দেখছেন বগুড়ার আম চাষিরা-ছবি আরিফ জাহান

বগুড়া: বাগানে বাগানে হলুদ-সবুজের সমারোহ। মুকুলের ভারে নুয়ে পড়েছে আমের শাখা। চারিদিকে মন মাতানো ঘ্রাণ। মুকুলের মৌ মৌ গন্ধে সোনালি স্বপ্নে ভাসছেন চাষিরা।

গেল কয়েক দিনের বিরূপ আবহাওয়ার প্রভাব পড়েনি বগুড়া অঞ্চলের আমের মুকুলে। থেমে থেমে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিপাতে আম গাছ ও মুকুলের বরং উপকারই হয়েছে।

কৃষকদের আম গাছে আলাদা করে পানি দিতে হয়নি। এবার আমের বাম্পার ফলনের আশা করছেন বগুড়ার চাষিরা।

বগুড়া আবহাওয়া কার্যালয়ের উচ্চ পর্যবেক্ষক সৈয়দ গোলাম কিবরিয়া বাংলানিউজকে জানান, রোববার (০৫ মার্চ) সর্বোচ্চ ২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। কয়েকদিনের মধ্যে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।

আমের জন্য বিখ্যাত রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ। লিচুর জন্য দিনাজপুরসহ উত্তরাঞ্চলের কয়েকটি জেলা শহর নামকরা। তবে এখন বগুড়া জেলার বিভিন্ন এলাকায় বাণিজ্যিকভাবে উন্নতমানের আম ও লিচু চাষ হচ্ছে। লাভজনক হওয়ায় প্রত্যেক বছর চাষিরা জমির পরিমাণ বাড়াচ্ছেন। চাষের ধরনে আনছেন ব্যাপক পরিবর্তন।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালকের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে এ জেলায় ৩ হাজার ৫৮০ হেক্টর জমিতে আম ও ১ হাজার ৭৫০ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন প্রজাতির লিচুর বাগান করা হয়েছে।

মো. মামুন, আব্দুল করিম, মমতাজুর রহমান, আব্দুল গফুরসহ একাধিক আম বাগান মালিক বাংলানিউজকে জানান, মাঘের প্রথম সপ্তাহ থেকে আম গাছে মুকুল আসতে শুরু করেছে। এখন বাগানের সব গাছ মুকুলে ভরে গেছে। এর মধ্যে অনেক গাছেই আমের গুটি আসা শুরু হয়েছে।

এসব বাগানে তারা আম্রপলি, গোপালভোগ, ল্যাংড়া, ফজলি, ক্ষিরসাপাতি, বারি-৪, হাঁড়িভাঙাসহ আরও বেশ কয়েকটি জাতের আম গাছ লাগিয়েছেন।

বাগান মালিকেরা আরও জানান, মুকুল আসার পর থেকেই গাছের পরিচর্যা শুরু করে দিয়েছেন তারা। পোকামাকড়ের আক্রমণ থেকে মুকুল রক্ষার জন্য কৃষি বিভাগের পরামর্শ অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ে ওষুধ স্প্রে করছেন।

তারা জানান, এখনও আবহাওয়া অনুকূলে রয়েছে। গত কয়েকদিনে থেমে থেমে বৃষ্টিপাত ও হালকা বাতাসে মুকুলের কোনো ক্ষতি হয়নি। বরং উপকার হয়েছে। বৃষ্টির পানিতে মুকুল আরও শক্ত হয়েছে। আবহাওয়া এরকম থাকলে ফলন বাম্পার হবে বলেও আশা করছেন বাগান মালিকেরা।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক কার্যালয়ের হর্টি কালচার সেন্টারের ডেপুটি ডিরেক্টর কৃষিবিদ আব্দুর রহিম বাংলানিউজকে জানান, এ জেলায় এখন পর্যন্ত আমের মুকুলের কোনো ক্ষতি হয়নি। লিচুর ক্ষেত্রেও একই অবস্থা।  

আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে চলতি বছর আম ও লিচুর বাম্পার ফলন হবে বলেই আশা করছেন এই ‍কৃষিবিদ।

বাংলাদেশ সময়: ১৩০৪ ঘণ্টা, মার্চ ০৭, ২০১৭
এমবিএইচ/আরআর/এমজেএফ
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।