শুক্রবার (১০ মার্চ) সকালে মিরপুর-৬ নম্বর কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা যায় বাজারে শীতকালীন সবজির পাশাপাশি নতুন করে বর্ষাকালীন সবজি আসতে শুরু করেছে। তবে দাম এখনও কিছুটা বেশি।
বাজার ঘুরে দেখা যায় শিম, করলা, ধুন্দল, চিচিঙা, ঢেঁড়স, পটল মানভেদে ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। কচুর লতি বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকায়, টমেটো ৪০ টাকা, ফুলকপি ৩০ টাকা, বাঁধা কপি ২০/২৫ টাকা, গাজর ২৫ থেকে ৩০ টাকা, পেঁপে ৩০ টাকা, মরিচ ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
লাল শাক আঁটি ৫ টাকা, লাউ শাক ৮/১০ টাকা, পালং শাক ১০/১২ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
সবজি বিক্রেতা ফয়সাল আহমেদ বলেন, শীতের সবজি শেষে বর্ষাকালীন সবজি আসতে শুরু করেছে এজন্য দাম কিছুটা বেশি। সপ্তাহখানেকের মধ্যে দাম কমে আসবে।
মিরপুর বেনারসি পল্লির বাসিন্দা মনসুর আহমেদ বলেন, বাজারে সবজি পাওয়া যাচ্ছে। তবে দাম কিছুটা বেশি। আমাদের মতো নিম্নবিত্তদের জন্য কিনে খাওয়াটা কষ্টকর।
ব্রয়লার মুরগি, পাঙাস, তেলাপিয়া, সিলভার কার্প, ছোট মৃগেল, ছোট রুই, হাইব্রিড কই মাছ ছাড়া অন্য মাছ কেনার সাহস পাচ্ছেন না সাধারণ ক্রেতারা।
বাজার ঘুরে দেখা যায়, মোটামুটি বড় ইলিশ ১০০০ থেকে ১৫০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
ছোট রুই ২২০-২৪০ টাকা, বড় রুই ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা, কাতল ৫০০-৭০০ টাকা, চিতল ৫০০-৬০০ টাকা, দেশি শিং ৫০০-৭০০ টাকা, মাগুর ৫০০-৬০০ টাকা, রুপচাঁদা ৮০০-৯০০ টাকা, বড় বোয়াল ৯০০-১০০০ টাকা, মাঝারি বোয়াল ৫০০-৭০০ টাকা, বড় শোল ৫৫০-৬০০ টাকা, ছোট শোল ৩৫০-৪০০ টাকা, পাবদা ৫০০-৬০০ টাকা, কই ২০০-২২০ টাকা, টেংরা ৫০০-৬০০ টাকা, মলা মাছ আকার ভেদে ৪০০-৬০০ টাকা, ছোট চিংড়ি ৪৫০-৫০০ টাকা, বড় চিংড়ি ৬০০-৮০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
তেলাপিয়া ১৪০ থেকে ১৬০ টাকা, পাঙাস ১৫০-২০০ টাকা, সিলভার কার্প ১৪০-১৮০ টাকা, গ্রাস কার্প ১৫০-১৬০ টাকা, ছোট মৃগেল ১৫০-১৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
অন্যদিকে মাংসের বাজারে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৫০-১৫৫ টাকা, পাকিস্তানি কক ২৪০-২৫০ টাকা, দেশি মুরগি ৪০০-৪৫০ টাকা, গরুর মাংস ৫০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
গরুর মাংসের ব্যবসায়ী শেফায়েত উল্ল্যাহ বলেন, মাংস ব্যবসায়ীদের ধর্মঘটের আগে ৪৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও এরপর থেকে ৫০০ টাকা কেজি বিক্রি করছি।
বাংলাদেশ সময়: ১১৪৬ ঘণ্টা, মার্চ ১০, ২০১৭
এমইউএম/আইএ