৫০ হাজার মেট্রিক টন ধারণ ক্ষমতার ১৭টি প্রি-ফ্যাব্রিকেটেড স্টিল গুদাম নির্মাণও এখনও হয়নি। দিনাজপুর জেলার বিরামপুরে বিএডিসি’র নিজস্ব জমি না থাকায় স্টিল গুদাম নির্মাণ করা সম্ভব হচ্ছে না।
এছাড়া ১৭টির মধ্যে চারটি স্থানে গুদাম নির্মাণের জন্য জমি এখনও পাওয়াই যায়নি। জমি অধিগ্রহণ দ্রুত সময়ে না করা গেলে সার গুদাম নির্মাণ করা সম্ভব নয় বলে জানায় বিএডিসি।
গোপালগঞ্জ সদর, শেরপুরের লালিতাবাড়ি, নেত্রকোণার মোহনগঞ্জ ও দিনাজপুর জেলার বিরামপুর জমি না পাওয়ার কারণে স্টিলের গুদাম নির্মাণ কাজ থেমে আছে। অথচ কাজ থেমে থাকা চারটি প্রি ফেব্রিকেটেড স্টিল গুদামে সার সংরক্ষণ ধারণ ক্ষমতা ১০ হাজার ২ মেট্রিট টন। দ্রুত সময়ে পাঁচটি গুদাম নির্মাণ না করতে পারলে লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবে না বিএডিসি।
বিএসডিসি সূত্র জানায়, জমি পাওয়ায় রাজশাহী, কুষ্টিয়া, ফরিদপুর, যশোর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, রংপুর, নাটোর, মাগুরা, সিলেট, হবিগঞ্জ সদর ও কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দিতে গুদাম নির্মাণ কাজ চলামান আছে। কাজ চলমান থাকলেও সার গুদাম নির্মাণ কাজের অগ্রগতি সন্তুষজনক নয়। অথচ ২০১৩ থেকে ২০১৬ মেয়াদে স্টিলের গুদামগুলো নির্মাণের কথা ছিলো। প্রকল্পের মোট ব্যয় ছিলো ১৩৪ কোটি ৩০ লাখ।
অথচ প্রকল্পের নির্দিষ্ট সময় শেষ হয়েছে এক বছর আগে। এপ্রিল, ২০১৭ সাল পর্যন্ত প্রকল্পের অগ্রগতি ৬৫ শতাংশ। ব্যয় হয়েছে মাত্র ৯৬ কোটি টাকা। ফলে আবারও প্রকল্পের সময়ে বেড়ে দাঁড়িয়েছে জুন ২০১৮ সাল পর্যন্ত।
অন্যদিকে ব্যয় বেড়ে ১৪৮ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে। জমি না পাওয়ার কারণে এই সময়েও স্টিলের গুদাম নির্মাণে সংশয় দেখা দিয়েছে।
এই প্রসঙ্গে বিএডিসি-র প্রধান(পরিকল্পনা) ফেরদৌস রহমান বাংলানিউজকে বলেন, ৫০ হাজার মেট্রিক টন সার সংরক্ষণ করতে চায় বিএডিসি। এই লক্ষ্যেই আমরা ১৭টি প্রি-ফ্যাব্রিকেটেড স্টিল গুদাম নির্মাণ করার উদ্যোগ নিয়েছি। কিছু গুদাম নির্মাণ চলমান আছে। এখনও কিছু গুদাম নির্মাণ করতে পারিনি। গুদাম নির্মাণে আমরা জমি পাইনি। ফলে চারটির কাজ এখনও শুরু হয়নি। এই বিষয়ে আমরা কয়েকবার সভাও করেছি। যেখানে জমি পাবো সেখানেই গুদাম নির্মাণ করবো। জেলা সদরে জমি না পেলে উপজেলা সদরে গুদাম নির্মাণ করে নাম পরিবর্তন করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
বিএডিসি সূত্র জানায়, ১৭টি স্টিলের সার গুদাম নির্মাণে বিলম্ব হওয়াতে বেশ কিছু কাজ ব্যাহত হচ্ছে। এর মধ্যে অন্যতম ৫০ হাজার মেট্রিক টন সার মজুদ না হওয়া। ফলে আপদকালীন অবস্থায় কৃষককে সার দিতে গিয়ে বিপাকে পড়বে সংস্থাটি।
প্রকল্পটি বাস্তবায়ন না হওয়ায় মোবাইল ও অনলাইন সফটওয়্যার ব্যবহারের মাধ্যমে সার ব্যবস্থাপনা কার্যক্রমকেও ডিজিটাল করা যাচ্ছে না। সার ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম জোরদারসহ চাঙ্গা হচ্ছে না গুণগতমান সম্পন্ন সার বিতরণ কার্যক্রম।
বাংলাদেশ সময়: ০৬৩৮ ঘণ্টা, মে ০৭, ২০১৭
এমআইএস/জেএম