উন্নত ১০ জাতের মোট ৭০টি কলম করা খেজুর গাছ লাগানো হয়েছে সেন্টারটিতে। বাগানটির সার্বিক তত্ত্বাবধায়নে আছেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের (ডিএই) অবসরপ্রাপ্ত মহাপরিচালক এম এনামুল হক।
আগামী দুই বছর পর রোপণ করা এসব গাছে খেজুর হবে বলে আশা করছে কৃষি বিভাগ। প্রতিটি গাছ বছরে ১’শ থেকে ৩’শ কেজি করে ফল দেবে বলে জানিয়েছেন এনামুল হক।
তিনি জানান, সার্জন (কান্দি) পদ্ধতি অবলম্বনে অপেক্ষাকৃত নিচু দুই বিঘা জমিতে এ বাগান তৈরি করা হয়েছে। বরিশালের রহমতপুর ও গাজীপুরের মৌচাক হর্টিকালচার সেন্টারসহ ২৫টি বিভিন্ন সেন্টারে এ বাগান তৈরির কাজ চলছে। আরব থেকে আমদানি করা খেজুর গাছগুলোর মধ্যে নিমেশি, বারহি, আনবারাহ, জাম্বেলি, খালাস, শিশি, খাতরাই, ললু, সুলতানা, আজুয়া, ইয়াবিন, ডিগলিট, নূল, মেদজল, আসমাউলহাসাসহ ১৯টি ভ্যারাইটি রয়েছে।
ফেব্রুয়ারি মাসে ১০১টি ও চলতি মাসে ৫’শ চারা আনা হয়েছে। এরমধ্যে ১৫টি পুরুষ গাছও রয়েছে। পাশাপাশি ১ কেজি পরাগরেণু আনা হয়েছে। যা দিয়ে ফুল ধারণের পর পরাগায়ন করা হবে।
তিনি বলেন, চারা রোপণ করতে ৬ ফুট চওড়া ও ৩ ফুট গভীর গর্ত করে মাটির সঙ্গে বালু, জৈব ও কম্পোস্ট সার মেশানো হয়েছে। বরিশাল হর্টিকালচারে রোপণ করা গাছ থেকে ২ বছরের মধ্যে ফলন পাওয়া যাবে।
এছাড়া এখানে ৫ একর জমিতে প্রায় ৫’শ বিদেশি নারিকেল গাছ লাগানো হয়েছে। এগুলো রোপণের ৩ বছরের মধ্যে ফল দেওয়া শুরু করবে। উন্নত প্রযুক্তির এ গাছ থেকে কৃষকরা অল্পদিনের মধ্যে ফলন পাবেন। একইসঙ্গে এটা লাভজনক বলে জানান হর্টিকালচার সেন্টারের ডেভেলপমেন্ট অফিসার এ বি এম মাহ ইমরান।
প্রতিদিন স্থানীয় চাষি এবং বিভিন্ন প্রশিক্ষণার্থী বাগান পরিদর্শন করেন। তারাও এরকম বাগান তৈরির আগ্রহ প্রকাশ করেছেন বলে জানিয়েছেন সেন্টারের উপ পরিচালক স্বপন কুমার হালদার।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩২ ঘণ্টা, মে ১৫, ২০১৭
এমএস/আরআর/এএ