হাওরের অকাল বন্যাকে পুঁজি করে এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ী ধান আটকে রেখে দাম বৃদ্ধি করে যাচ্ছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা। আরো এক দফা দাম বাড়ানোর পায়তারা করছেন ওইসব সুবিধাবাদিরা।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের তথ্যানুযায়ী হাওর অঞ্চল ছাড়া অন্যসব জেলায় ধানের উৎপাদনে খুব বেশি তারতম্য হয়নি। আগের মতোই ধান উৎপাদন হয়েছে। কোনো কেনো জেলায় ধানের বাম্পার ফলনও হয়েছে এবার। তারপরেও ধানের সংকট দেখিয়ে চালের দাম বৃদ্ধি করছেন ব্যবসায়ীরা।
রাজধানীর মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটের চালের আড়ৎদার আবু হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, ‘মিল মালিকরা বলছেন আরো এক দফা দাম বাড়বে। ধানের সংকটের কারণেই চালের দাম বাড়ছে বলে জানিয়েছেন মিল মালিকরা। মিনিকেট আগে যেখানে ৫০ কেজির বস্তা ছিলো ২৫৫০ টাকা। তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬০০ থেকে ২৬৫০ টাকা। ’
চালের বর্তমান বাজার দর এলাকা ভেদে মোটা স্বর্ণা চাল ৪৭. ৫ থেকে ৪৮.৫ টাকা কেজি। মিনিকেট ৫৩ থেকে ৫৩.৫ টাকা কেজি। নাজিরশাইল ৫৬ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এরকম প্রত্যেক চালের দাম এক থেকে দুই টাকা কেজিতে বৃদ্ধি পেয়েছে।
কুষ্টিয়ার সাগর অটো রাইস মিলের ম্যানেজার আমির হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, আমরা যেভাবে ধান ক্রয় করেছি সেভাবে চাল বিক্রি করছি। গত বছর এই সময় যেখানে ৬০০ টাকায় এক মণ ধান কিনেছি। এবার তা বেড়ে ৮০০ থেকে ৮৫০ টাকা হয়েছে। হাওরে ধান তলিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি অন্য এলাকাতেও এবার ধানের ফলন কম বলে দাবি করেন।
চালের দাম বৃদ্ধির কারণ হিসেবে দিনাজপুরের মেসার্স সোনালী অটো রাইস মিলের মালিক মো.সাইফুল ইসলাম জানান, ‘এবার ধানের উৎপাদন অনেক কম। যেকারেণ দাম একটু বেশি। বর্তমান বাজারে ৭৫ কেজির মিনিকেট বিক্রি হচ্ছে ২৩০০ টাকা বস্তা। আর বিআর-২৮, ২০০০ টাকা, বিআর-২৯ বিক্রি হচ্ছে ১৯০০ টাকা বস্তা। ’
তিনি বলেন, গত বছর যেখানে বিঘা প্রতি ৪০ মণ ধান হয়েছে। এবার সেখানে বিঘায় ৩০ মণ বা তারও কম হয়েছে। তাছাড়া হাওরের অকাল বন্যার কারণেও অনেক ধান নষ্ট হয়ে গেছে। যে কারণে সারাদেশের চালের চাহিদার যোগান দিতে গিয়ে দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৭ ঘণ্টা, জুন ১০, ২০১৭
এসএম/বিএস