তবে পোনামাছ নিধন থেকে জেলেদের বিরত রাখতে কারো কোনো পদক্ষেপ চোখে পড়েনি।
উপজেলার চাকুয়া ইউনিয়নের লেপসিয়া বাজার ঘুরে দেখা যায়- বোয়াল, আইড়, পাবদা, বাইন, ঘনিয়া, পুঁটি, গুলশা, টেংরা, চাপিলা, বাইলাসহ দেশীয় বিভিন্ন প্রজাতির পোনামাছ জেলেদের জালে ধরা পড়েছে।
এসময় পোনামাছ ধরার বিষয়ে জানতে চাইলে জেলে টিটু মিয়া, রপম বর্মণসহ আরো অনেকে বলেন, বন্যায় সবই তো শেষ। এহন মাছ না ধরলে চলবো ক্যামনে?
অনুসন্ধানে জানা গেছে, এবারের অকাল বন্যায় ফসল খোয়ানো কৃষকরাও জীবিকার তাগিদে মাছ ধরাকে পেশা হিসেবে নিয়েছেন।
চাকুয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবুল কালাম বাংলানিউজে বলেন, প্রায়শই ভ্রাম্যমাণ আদালতে জাল ধরে পুড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু তারপরও কাউকে মাছ ধরা থেকে বিরত রাখা যাচ্ছে না। বিষয়টি মৎস্য কর্মকর্তাকে অবহিত করা হয়েছে।
মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্র মতে, এবারের অকাল বন্যায় জেলার হাওরাঞ্চল মোহনগঞ্জ, খালিয়াজুরী, মদন ও বারহাট্টা উপজেলায় মাছ মড়কে ক্ষতির পরিমাণ ১ হাজার ১৮০ মেট্রিক টন। ক্ষতিগ্রস্ত জেলের সংখ্যা ১৬ হাজার ৫২৮ জন। এতে আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ২৪ কোটি টাকা।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১০ ঘণ্টা, জুন ১৭, ২০১৭
জেডএম/