সোমবার (০৭ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে উপজেলার মঠেরঘাট এলাকার রূপগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে এ কর্মসূচি পালন করেন তারা।
মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করেন- নারায়ণগঞ্জ নরসিংদী সেচ প্রকল্পের (এস.আই.সি-৭,টি.আই.সি-১) আওতাভুক্ত উপজেলার মুড়াপাড়া ইউনিয়নের মাহমুদাবাদ, নারসিংগল, সরকারপাড়া, দড়িকান্দি, গঙ্গানগর, হাউলিপাড়া ও তারাব পৌরসভার গন্ধর্বপুর, বোচারবাগ, নামাপাড়া এলাকার কৃষকরা।
মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য রাখেন- কৃষক নাসির উদ্দিন, মোফাজ্জল হোসেন, শওকত আলী, নজরুল ইসলাম, সিরাজ মিয়া, হান্নান মিয়া, সুবল, জাকির হোসেন, নবী হোসেন, জলিল, আনার মোল্লা, আলমগীর হোসেন, আশরাফুল আলম, হাফিজ উদ্দিন, আব্দুল মালেক, কফিল উদ্দিন, বজলুর মিয়া, বিল্লাল হোসেন প্রমুখ।
কৃষকরা জানান, নারায়ণগঞ্জ নরসিংদী সেচ প্রকল্পের (এস.আই.সি-৭,টি.আই.সি-১) আওতাভুক্ত মাহমুদাবাদ, নারসিংগল, সরকারপাড়া, দড়িকান্দি, গঙ্গানগর, হাউলিপাড়া, গন্ধর্বপুর, বোচারবাগ, নামাপাড়া এলাকায় প্রায় ৬ শতাধিক বিঘা ফসলি জমি রয়েছে। এসব এলাকার মানুষ বেশির ভাগই ধানের আবাদ করে জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন।
নারায়ণগঞ্জ নরসিংদী সেচ প্রকল্পের ক্যানেলগুলো এক শ্রেণির প্রভাবশালীরা বালু দিয়ে ভরাট করে ফেলেছেন। ক্যানেলগুলো ভরাটের ফলে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় পুরো এলাকায় জলাবদ্ধার সৃষ্টি হয়েছে। কোমর থেকে গলা পর্যন্ত পানি হওয়ায় স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীদের নৌকা ব্যবহার করতে হচ্ছে। ওই এলাকার জনগণের ভোগান্তির যেন শেষ নেই।
এছাড়া প্রায় এক হাজার কৃষক ফসল হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। বানিয়াদি সেচ প্রকল্প অফিসকে বার বার অবহিত করা হলেও কোনো প্রতিকার পাওয়া যায়নি। দ্রুত জলাবদ্ধতা নিরসন করতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন তারা।
এ বিষয়ে মুড়াপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তোফায়েল আহাম্মেদ আলমাছ বলেন, উপজেলা সমন্বয় সভায় জলাবদ্ধতা নিরসন করতে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। ওই কমিটির সভাপতি আমি। উপজেলা প্রকৌশলীসহ কমিটির অন্যান্য সদস্যদের নিয়ে জলাবদ্ধ এলাকা পরিদর্শন করা হয়েছে। অতি দ্রুত এ জলাদ্ধতা নিরসন করা হবে।
তারাব পৌর মেয়র মিসেস হাসিনা গাজী বলেন, জলাবদ্ধতা নিরসনে ইতোমধ্যে পৌরসভার পক্ষ থেকে ১২টি সেচ পাম্প বসানো হয়েছে। অল্প সময়ের মধ্যে পানি সরে যাবে এবং কৃষকরাও তাদের ফসল ফলাতে পারবেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৭ ঘণ্টা, ০৭ আগস্ট, ২০১৭
আরএ