তাদের সুদিন ফিরেছে। ধীরে ধীরে দাম বাড়ছে পাটের।
এ বছর বগুড়ার জেলার চাষিরা ব্যাপক পরিমাণ জমিতে পাট লাগিয়েছেন। জেলার যমুনা অধ্যুষিত সারিয়াকান্দি, সোনাতলা ও ধুনট উপজেলায় পাট চাষ করা হয়েছে বেশি। এছাড়াও জেলার ৯টি উপজেলায়ও কমবেশি পাট চাষ করা হয়েছে।
এ জেলার চাষিরা এখন পর্যন্ত পাটের ভালো দামই পাচ্ছেন। তবে জেলার বিভিন্ন বাজারে পাটের আমদানি বেশি হওয়ায় গেলো এক সপ্তাহের ব্যবধানে জাতভেদে মণ প্রতি পাটের দাম ১০০-১৫০ টাকা কমেছে।
জেলার বিভিন্ন উপজেলার পাটচাষি ও সংশ্লিষ্ট অধিদফতরের কর্মকর্তার সঙ্গে কথা হলে এসব তথ্য জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালকের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, জেলার ১২টি উপজেলায় ১৫ হাজার ৪শ’২৫ হেক্টর জমিতে পাটের চাষ হয়েছে। এরমধ্যে ১২ হাজার হেক্টর জমির পাট ইতোমধ্যেই কাটা হয়েছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালকের কার্যালয়ের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক (শস্য) কৃষিবিদ ওবায়দুর রহমান মণ্ডল বাংলানিউজকে জানান, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় পাটের ভালো ফলন হয়েছে। প্রতি হেক্টরে ফলন হয়েছে ২ দশমিক ২৫ মেট্রিক টন।
তিনি জানান, প্রতিবিঘা জমিতে উৎপাদন ব্যয় হয়েছে সর্বোচ্চ ৭ হাজার টাকা। জেলার বিভিন্ন বাজারে বর্তমানে প্রতিমণ পাট ১৬০০-১৭০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এতে চাষিরা লাভবান হচ্ছেন।
খায়রুল ইসলাম, মোখলেছুর রহমান, জাহাঙ্গীর আলম, হোসেন আলীসহ বেশ কয়েকজন চাষি জানান, তারা কমবেশি পাট লাগিয়েছেন। ইতোমধ্যে সিংহভাগ জমির পাট কাটা হয়েছে।
তারা জানান, চরের বালিযুক্ত মাটিতে অন্য ফসল ভালো হয় না। তারা চরাঞ্চল ও নদী তীরবর্তী এলাকার বেশিরভাগ জমিতে পাট চাষ করেন। জমিভেদে পাটচাষে ব্যয়ও তুলনামূলক কম। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত প্রতিবিঘা পাটের জমির বিপরীতে সর্বোচ্চ ৬ থেকে ৮ হাজার টাকার মতো ব্যয় হয়।
তারা আরও জানান, গেল সপ্তাহে প্রতিমণ দেশি ও তোষা পাট ১৪০০-১৭০০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। কিন্তু আমদানি বেশি হওয়ায় সেই পাট বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ১৩০০-১৬০০ টাকা দরে। তবে ব্যবসায়ীদের কাছে চরে উৎপাদিত পাটের বাড়তি চাহিদা থাকায় এখনো ভালো দাম পাওয়া যাচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৪ ঘণ্টা, আগস্ট ১৩, ২০১৭
এমবিএইচ/আরআর