ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

কৃষি

অর্থবছরের শুরুতেই পাটের রফতানি কমেছে ৭.৫১ শতাংশ

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪২৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৭, ২০১৭
অর্থবছরের শুরুতেই পাটের রফতানি কমেছে ৭.৫১ শতাংশ পাটের রফতানি আয় কমছে (ফাইল ফটো)

ঢাকা: পাটের সোনালী দিন ফিরিয়ে আনতে সরকার নানা উদ্যোগ নিলেও তার প্রতিফলন মিলছে না। চলতি অর্থবছরের প্রথম মাসেই পাটের রফতানি কমেছে ৭ দশমিক ৫১ শতাংশ।

বাংলাদেশ রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) এবং পাট ও বস্ত্র মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এ কারণে চাপের মুখে রয়েছেন বলে জানা গেছে।
 
পাট ও বস্ত্র মন্ত্রণালয়ের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা জানান, পাটের রফতানি বাড়াতে সরকার একের পর এক উদ্যোগ নিয়ে যাচ্ছে।

কিন্তু সে অনুপাতে রফতানি বাড়ছে না চোখে পড়ার মতো। সম্প্রতি পালিত হয়েছে জাতীয় পাট সপ্তাহ। সরকারি পাটকলগুলোকে আধুনিকীকরণে ব্যয় করা হচ্ছে প্রচুর অর্থ।

অথচ চলতি ২০১৭-১৮ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে কাঁচা পাট ও পাটজাত দ্রব্যের রফতানি বাড়াতো দূরের কথা, উল্টো কমেছে ৭ দশমিক ৫১ শতাংশ।
 
ইপিবি জানায়, কাঁচা পাট ও পাটজাত দ্রব্য খাতে ওই মাসে রফতানি আয় হয়েছে ৬৪ দশমিক ৫৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। অথচ  গত বছরের একই সময়ে একই খাত থেকে  ৬৯ দশমিক ৭৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার রফতানি আয় হয়েছিলো।
 
নাম না প্রকাশ করার শর্তে ইপিবি’র এক কর্মকর্তা বাংলানিউকে বলেন, পাট রফতানিতে সরকার বিভিন্ন উদ্যোগ নিলেও তা কার্যকর হচ্ছে না। বিশেষ করে বিদেশে থাকা আমাদের যেসব মিশন রফতানি উন্নয়নে কাজ করছে, তাদের দিক থেকেও আশানুরূপ সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে আমাদের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ওপর বারবার পাট রফতানি বাড়ানোর চাপ আসছে সরকারের ওপর মহল থেকে।
 
তবে ইপিবি’র ভাইস চেয়ারম্যান বিজয় ভট্টাচার্য বাংলানিউজকে বলেন, ‘পুরো বছর জুড়েই পাট ও পাটজাত দ্রব্যের পণ্য সামগ্রীর অর্ডার পাওয়া যায় বিভিন্ন দেশ থেকে। একমাসে রফতানি আয় কিছুটা কম হতে পারেই। এতে আশঙ্কার কিছু নেই। আশা করছি, সামনে অর্ডার আরো বাড়বে। এর চেয়ে বেশি কিছু এই মুহূর্তে বলতে পারবো না’।
 
পাট ও বস্ত্র মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ফয়জুর রহমান চৌধুরীর সঙ্গে একাধিকবার ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তা সম্ভব হয়নি।
 
বাংলাদেশ সময়: ২০৩০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৭, ২০১৭
ইউএম/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।