এসবিসি সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, অতিবৃষ্টি ও অধিক খরায় রাজশাহী জেলার পবা, দুর্গাপুর, গোদাগাড়ী, পুঠিয়া, তানোর, মোহনপুর ও বাগমারা উপজেলার কৃষকদের ফসলের ক্ষতির পরিমাণ কমিয়ে আনতে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
এর মধ্যে বিমার আওতায় আনা হয়েছে ৩২৪ জন কৃষককে। আগামী ১৫ অক্টোবরের মধ্যে বাকি কৃষকদের বিমার আওতায় আনা হবে। এর আওতায় অন্তত ৩০০ বিঘা জমির জন্য বিমা করা হবে। এই বিমার প্রিমিয়াম ধরা হয়েছে ৬৮৩ টাকা।
এর মধ্যে সরকার ভর্তুকি দিচ্ছে ৩৮৩ টাকা। আর ৩০০ টাকা নেওয়া হচ্ছে কৃষকদের কাছ থেকে। এসবিসির তত্ত্বাবধানে আবহাওয়া সূচকভিত্তিক শস্য বিমা প্রকল্পের চতুর্থ দফায় এ পর্যন্ত মোট ১ হাজার ৩৭৩ জন কৃষককে বিমার অওতায় আনা হয়েছে।
অতিবৃষ্টি ও অধিক খরায় ক্ষতির জন্য রাজশাহী, নোয়াখালী এবং সিরাজগঞ্জ জেলার সাত হাজার কৃষককে অর্ধকোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে প্রকল্পটির শুরু থেকে দায়িত্ব পালন করে আসা প্রজেক্ট ম্যানেজার ও সাধারণ বীমা করপোরেশনের ডেপুটি ম্যানেজার মো. আমীর হোসেন মিয়া বাংলানিউজকে বলেন, জলবায়ু ও প্রাকৃতিক দু্র্যোগজনিত ঝুঁকির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের আর্থিক ক্ষতি কমানোর জন্য এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ধীরে ধীরে কৃষকরা এই বিমায় আকৃষ্ট হচ্ছেন। ফলে প্রকল্পটি সফলতাও পেয়েছে।
তাই প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও নতুন ৫ দফায় পালটিং করার চিন্তা করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
উল্লেখ্য, সরকার ও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) অর্থায়নে সাধারণ বীমা করপোরেশন এবং বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতরের (বিএমডি) সহযোগিতায় প্রকল্পটি শুরু হয়। এতে ব্যয় ধরা হয় ২১ কোটি টাকা।
প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই আমান, বোরো ধানের পাশাপাশি আলু চাষিদের মধ্যে ৬ হাজার ৭৭২ জনকে ৫০ লাখ ৩৭ হাজার ৪১৪ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে।
ক্ষতিপূরণের পাশাপাশি এ প্রকল্পে ১৩ হাজার ৫৪৪ কৃষককে ওয়েদার ইনডেক্স বেইজড ইন্স্যুরেন্স সম্পর্কে সচেতন করা হয়। বিমা কোম্পানিসহ বিভিন্ন স্টেকহোল্ডার প্রতিষ্ঠানের মোট ৯০০ ব্যক্তিকে প্রোগ্রাম, সভা, সেমিনার এবং প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সচেতন করা হয়।
এছাড়া নির্দিষ্ট সময়ে সঠিক তথ্য সরবরাহের জন্যে ২০টি স্বয়ংক্রিয় আবহাওয়া কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। যার মাধ্যমে এসব অঞ্চলে অতিরিক্ত খরা ও বন্যার পূর্বাভাস এবং এসবের মাত্রা মাপা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৩১৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০১৭
এমএফআই/এমএ