চলতি মৌসুমে জেলার ২ লাখ ৫৩ হাজার ৬৮৭ হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। এ লক্ষ্যমাত্রা পূরণে গত জুলাই মাসেই জমিতে আমনের চারা রোপণ শুরু করেন কৃষকেরা।
পানি কমলে হিসেব করে দেখা গেছে, জেলার ১ লাখ ২১ হাজার হেক্টর ফসলি জমি তলিয়ে নষ্ট হয়ে যায়।
বন্যা শেষে চলতি সেপ্টেম্বরেই দ্বিতীয়বারের মতো নতুন করে ফসলি জমিতে আমনের চারা রোপণ করেছেন কৃষকেরা। চারার দাম বেশি হলেও লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পেরেছেন তারা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, চারাগুলো বেড়ে পরিপক্ক হয়ে সবুজে সবুজে ছেয়ে গেছে ফসলি জমির চারপাশ। আর এ সবুজের মাঝেই লুকিয়ে আছে কৃষকের ক্ষতিপূরণের স্বপ্ন।
দিনাজপুর সদর উপজেলার কমলপুর ইউনিয়নের আইহাই গ্রামের কৃষক মো. কামরুজ্জামান বাংলানিউজকে বলেন, ‘প্রতি মৌসুমে ৭ বিঘা জমিতে ধান চাষ করি। এবার প্রথম দফায় আমনের চারা রোপণ করলেও বন্যার পানিতে তলিয়ে নষ্ট হয়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। বন্যা শেষে ক্ষতি পুষিয়ে নিতে দ্বিতীয়বারের মতো চারা রোপন করেছি। চারাগুলোও এখন পরিপক্ক হয়ে উঠেছে’।
তবে তার অভিযোগ, বন্যার পর সরকারিভাবে যে চারা বিতরণ করা হয়েছে, তা চাহিদার তুলনায় অনেক কম। সরকারি চারা অধিকাংশ কৃষকই পাননি। বাজার থেকে চড়া দামে চারা কিনে রোপণ করতে হয়েছে।
বন্যায় যে ক্ষতি হয়েছে, তার কিছুটা হলেও পূরণ হওয়ার আশা করছেন এই কৃষক।
দিনাজপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক মো. গোলাম মোস্তফা বাংলানিউজকে জানান, গত মাসের বন্যায় জেলার ১ লাখ ২১ হাজার হেক্টর ফসলি জমি তলিয়ে বিনষ্ট হলেও তা পরবর্তীতে পূরণ করা হয়েছে। কৃষকদের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে আমন চাষে সার্বক্ষণিকভাবে সব ধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে।
অনুকূল আবহাওয়া থাকলে এবার ফলন ভালো হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন এই কৃষি কর্মকর্তা।
বাংলাদেশ সময়: ০১২৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০১৭
এএসআর