অভিযোগ রয়েছে, পুরুষের তুলনায় বেশি কাজ করেও মজুরি কম পাচ্ছেন এসব নারী। প্রতিদিন কৃষিকাজে একজন পুরুষ শ্রমিককে ৩০০ টাকা দেওয়া হলেও নারী শ্রমিক পাচ্ছেন ২০০ টাকা করে।
পুরুষের মতো কাজে ফাঁকি দেওয়ার প্রবণতা না থাকায় নারী শ্রমিকদের কদর বেড়েছে। আবার সমান পারদর্শী হয়ে ওঠায় কৃষি কাজে গ্রামীণ নারীদেরই কাজে লাগানো হচ্ছে বেশি।
কৃষকদের শীতের সবজি, আলু ও রোপা আমন ক্ষেতের নিড়ানি ও পরিচর্যা এবং উত্তোলনে পারদর্শিতা দেখাচ্ছেন নারী শ্রমিকরা। গৃহস্থদের কাছে অনেক প্রিয় হওয়ায় তাদের মজুরি কিছুটা হলেও বেড়েছে।
নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় সরেজমিনে দেখা গেছে, কাকডাকা ভোরে ঘুম থেকে উঠে সংসারের যাবতীয় কাজ শেষ করে কর্মক্ষেত্রে ছুটে যাচ্ছেন শত শত নারী। সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত বিভিন্ন শ্রম ভিত্তিক কাজে অর্থ উপার্জন করে সংসারের অভাব দূর করছেন।
এখন মাস শেষে পরিবারের হাতে টাকা তুলে দিচ্ছেন নারীরাও। ফলে এসব পরিবারে স্বচ্ছলতা ফিরে আসছে।
পরিস্থিতি মোকাবেলায় ৫ থেকে ১৫ জন মিলে দল গঠন করেছেন নারী শ্রমিকরা। কর্মক্ষেত্রে সমস্যায় পড়লে এসব দলবদ্ধ হয়ে প্রতিবাদও করছেন। তবে কোনো কোনো ক্ষেত্রে নারী শ্রমিকরা কর্মক্ষেত্রে নানা হয়রানির শিকার হয়ে থাকেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
কৃষকরা জানান, আগাম টাকা না দিয়ে রাখলে নারী শ্রমিকদের সময়মতো কাজে পাওয়া যায় না। সরকারের বিভিন্ন ভিজিডি, ভিজিএফ, বয়স্ক ও বিধবা ভাতা, কর্মসংস্থান কর্মসূচি উন্নয়নমূলক কাজে ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে কাজে সম্পৃক্ত হয়ে পড়ায় তাদেরকে পাওয়াটাই কষ্টকর হয়ে পড়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৮, ২০১৭
এএসআর