রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত উন্নয়ন মেলায় গিয়ে এ তথ্য জানা গেছে। মেহেরপুরের দারিদ্র বিমোচন সংস্থা (ডিবিএস) এটির জাত সংরক্ষণ ও সম্প্রসারণের জন্য মেলায় প্রদর্শনী করছে।
সংস্থাটির কৃষিবিদ সাজিদুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, আমরা বাড়িতে বাড়িতে চাষের জন্য এই কলার চারা দিয়ে থাকি। একইসঙ্গে চাষ পদ্ধতির প্রশিক্ষণও দিই। অত্যন্ত পুষ্টিকর এই কলার ফলন বেশ ভাল। খেতেও খুব সুস্বাদু। কোনো বিচি নেই। তবে দেশের লোকেরা এর কদর বোঝে না বলে প্রায় হারিয়েই গেছে। তাই আমরা এটি আবার সহজলভ্য করার উদ্যোগ নিয়েছি। তবে বাণিজ্যিক চাষের জন্য এই কলা নয়।
সাধারণ অন্যান্য কলাচাষে ১০ মাসেই ফল পাওয়া যায়। তবে এই ২২ ছড়ি’র চারা থেকে ১২ মাসে ফল আসে। যে কারণে বাণিজ্যিক চাষে এই কলায় লাভ হয় না। তবে বাড়িতে বাড়িতে শুধু নিজেদের জন্য এই কলা বেশ লাভজনক। কেননা, উৎপাদন খরচ তেমন নেই। আবার ফলন বেশি। তবে ২২ ছড়ি বলে ২২ কাদি কলাই পাওয়া যায় এমন নয়। কখনো কখনো কম-বেশি হয়।
এটি আমাদের দেশের জাত এবং এক সময় অনেক হতো-যোগ করেন সাজিদুর রহমান।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩০ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩১, ২০১৭
ইইউডি/জেডএম