তিনি এসেছেন সবজি বাজারে। বাড়ি ফেরার পথে কথা হয় তার সঙ্গে, তিনি বাংলানিউজকে জানান, কাঁচাবাজার আসি বাবা মোর মাথা খারাপ হয়্যা গেইছে।
পোটোল (পটল) কিননু ৫০ টাকাত, পিঁয়াজের গায়োত তো হাতে দেওয়া যাওচে না।
সরেজমিনে বাজার ঘুরে দেখা যায়, বাজারে পর্যাপ্ত সবজি থাকার পরও সব সবজির দাম আকাশ ছোঁয়া। বেগুন-৪০টাকা, ফুলকপি-৫০, বাঁধাকপি-৫০, সিম-১শ', পিঁয়াজ দেশি-৮০, ইন্ডিয়ান-৬০, আলু-২৫, শশা-৪০, রসুন-১শ' টাকা, আদা-১৫০টাকা, কাঁচা মরিচ-১৫০শ', ধনেপাতা-১৫০শ' টাকা কেজি দরে ও প্রতি আঁটি শাক ১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়াও মাছ-মাংসের বাজার বেশ চড়া। কথা হয় সবজি বাজারে আসা পৌরশহরের বালুয়াভাটা মহল্লার বাসিন্দা রেজাউল ইসলামের সঙ্গে, তিনি বাংলানিউজকে জানান, সব ধরনের সবজির দাম অনেক বেশি। অনতিবিলম্বে সংশ্লিষ্টদের বাজার মনিটরিং করা উচিত।
সবজি বাজারে আসা অপর ক্রেতা মাহাফুজ ওয়াহিদ চয়ন জানান, কাঁচাবাজারে ৫শ' টাকা নিয়ে যাওয়া এখন বোকামি ছাড়া কিছুই নয়। মধ্যস্বত্বভোগীরাই ফায়দা লুটে নিচ্ছে, আর বঞ্চিত হচ্ছে কৃষক আর ভোক্তারা।
কাঁচামাল ব্যবসায়ী শাহিন মিয়া বাংলানিউজকে জানান, বেশি দাম দিয়ে কিনতে হয় বিধায় সব রকমের সবজির বাজার বেশ চড়া। তবে তিনি আশা প্রকাশ করেন অচিরেই দাম নাগালের মধ্যে আসবে।
বদরগঞ্জ উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা কনক চন্দ্র রায় বাংলানিউজকে জানান, বন্যার কারণে সবজির ক্ষেত ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় দাম অনেক বেশি। কৃষকরা নতুন করে সবজি ক্ষেত তৈরি করেছেন। আশা করছি ওই সমস্ত সবজি বাজারে আসা মাত্র দাম নাগালের মধ্যে এসে যাবে।
বদরগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাহবুবর রহমান বাংলানিউজকে জানান, নতুন উঠেছে শীতের সবজি, এ কারণে দাম বেশি। তাছাড়া গত বন্যায় সবজি ক্ষেতের অনেক ক্ষতি হয়েছে। আমরা কৃষকদের উৎসাহ দিচ্ছি সবজি ক্ষেত তৈরিতে। আশা করছি শিগগিরই সবজির দাম কমে যাবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৪, ২০১৭
এএটি