ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

কৃষি

শিমে লাভবান চাষির মুখে হাসি

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪০৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৪, ২০১৭
শিমে লাভবান চাষির মুখে হাসি শিমে লাভবান চাষির মুখে হাসি। ছবি: বাংলানিউজ

নরসিংদী: ভালো উৎপাদনের পর চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় দাম বেশি পেয়ে সুদিন ফিরেছে নরসিংদীর শিমচাষিদের। হাসি ফুটেছে তাদের মুখে।

কৃষকরা জানান, তারা মাত্র ১ হাজার টাকা ব্যয়ে চলতি মৌসুমে আয় করতে পারছেন অন্তত ১০ হাজার টাকা করে। লাভজনক হওয়ায় প্রতি বছরই এ জেলায় আবাদ বাড়ছে।

উৎপাদিত শিম দেশের বিভিন্ন জেলা ছাড়াও ভারত ও মধ্যপ্রাচ্যে রফতানি হচ্ছে।

রায়পুরা, বেলাব ও শিবপুর- এ তিন উপজেলার ১০ হাজারেরও বেশি চাষি মৌসুম অনুসারে শিমের আবাদ করেন। তাদের মধ্যে কমপক্ষে ৫ হাজার চাষি বাণিজ্যিক চাষে জড়িত, যাদের বাগানগুলেতে প্রতিনিয়ত কাজ করছেন আরও কমপক্ষে ২ হাজার শ্রমিক।

সরেজমিনে দেখা গেছে, শীতকালের শুরুতেই শিম উঠতে শুরু করেছে। গাছে গাছে ফুলের মাঝে থোকায় থোকায় শিম ধরেছে। প্রতিদিনই পরিপক্ক শিম সংগ্রহের পর বাজারে নিয়ে বিক্রি করছেন চাষিরা।

কৃষকরা জানান, নরসিংদীতে বারি-১, বারি-২, আশ্বিনা, কাকিয়া ও বোয়ালগাদাসহ কয়েকটি জাতের শিমের আবাদ বেশি হয়। মে/জুন মাসে আগাম জাতের ও আগস্ট/সেপ্টেম্বর মাসে মৌসুমভিত্তিক আবাদ শুরু করে ৯০ দিনের মধ্যে ফলন পাওয়া যায়। বিরামহীনভাবে মার্চ মাসে গিয়ে এ উৎপাদন শেষ হয়।

তারা জানান, প্রতি কেজি ৭০ টাকায় বিক্রির মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছিল এবারের শিম বিক্রি কার্যক্রম। বর্তমানে পাইকারি বাজারে ৪০/৫০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। খুচরা বাজারে গিয়ে এ মূল্য প্রায়ই দ্বিগুণ হয়ে যাচ্ছে।

শিমের কাঁচা ও শুকনো বীজের চাহিদাও অনেক বেড়েছে। চলমান মৌসুমে কাঁচা বীজ খুচরা বাজারে কেজিপ্রতি ৮০ টাকা থেকে ১০০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। আর মৌসুম শেষে শুকনো বীজ বিক্রি হবে প্রতি কেজি ১০০ টাকা থেকে ১২০ টাকা।

প্রায় ৩০ বছর ধরে জেলার সবচেয়ে বড় তিনটি শিমের বাজার বসছে শিবপুর উপজেলার যশোর, বেলাব উপজেলার বারৈচা ও রায়পুরা উপজেলায় মরজালে। শিম ছাড়াও ঢাকা বিভাগের সবচেয়ে বেশি কাঁচা শাক-সবজিও বিক্রি হচ্ছে বাজারগুলোতে। বাজারের পাশের বাগানগুলোতেও প্রতি বছরই শিমের চাষ বাড়ছে।

ভালো ফলনে খুশি হলেও কিছু দাবি জানিয়েছেন কৃষকরা। সরকারি ঋণ পেতে ব্যাংকগুলোর চরম হয়রানি ও সেচ সুবিধা না পাওয়ার অভিযোগ তুলে তারা বলছেন, ব্যাংকঋণ ও সেচ সুবিধা পেলে আবাদ আরও প্রসারিত হতো। এমনকি মহাজনের কাছ থেকে চড়া সুদে অর্থ এনে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার হাত থেকেও রক্ষা পেতেন অনেক চাষি।

কৃষি কর্মকর্তাদের দাবি, কৃষকদের সাফল্য অর্জনে যথাসময়ে সঠিক পরামর্শ দিয়ে সাহায্য করছেন তারা।

বাংলা‌দেশ সময়: ২০০৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৪, ২০১৭
এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।