শিক্ষকতার পাশাপাশি কৃষি কাজে ব্যাপক উৎসাহী তিনি। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, প্রথমে কৃষি বিভাগের পরামর্শে ২০১৫ সালের জুন মাসে বাড়ির সীমানার ভেতরে বারি মাল্টা-১ জাতের ৭৩টি চারা রোপন করি।
বেলাল হোসেন বলেন, শিক্ষকতার পাশাপাশি কৃষি কাজ করতে আমার ভালো লাগে। কৃষি বিভাগের পরামর্শে মাল্টা চাষ করা শুরু করি। প্রথমে এক বিঘা জমিতে ৭৩টি চারা রোপন শুরু করি। অবসর সময়ে চারা গুলোর পরিচর্চা করি। আরো ২ একর জমিতে নতুন করে মাল্টা চারা রোপন করেছেন চাষী।
হরিপুর উপজেলার কাঠালডাংগী গ্রামের আকতার হোসেন জানান, বেলাল ভাইয়ের মাল্টা চাষ দেখে আমরা অনেক বেকার যুবক মাল্টা চাষে আগ্রহী হই । বেলাল ভাই একজন শিক্ষক মানুষ তিনি যদি মাল্টা চাষ করে সফল হতে পারেন তাহলে আমরা কেন পারবো না। আগামী বছরে আমি দুই একর জমিতে মাল্টা চাষের প্ল্যান করেছি।
কাঠালডাংগী গ্রামের বিষ্ণু জানান, আমাদের ঠাকুরগাঁয়ের অনেক ভালো ভালো জমি রয়েছে যা মাল্টা চাষের উপযোগী। তা প্রমাণ করে দিলেন স্কুল শিক্ষক হেলাল ভাই। তাকে দেখে আমিও উৎসাহিত হয়ে আগামীতে মাল্টা চাষ করতে জমি প্রস্তুত করছি।
এই বাগান দেখে অনেক বেকার যুবক আগ্রহী হয়ে উঠেছেন মাল্টা চাষে। আগামীতে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে এর চাষ হবে বলে আশা করছেন কৃষি বিভাগ। বেলাল হোসেনের এই বাগান দেখে মাল্টা চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন জেলার অনেকে।
হরিপুর উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা মুহা. নইমুল হুদা সরকার বলেন, মাল্টার আকার এবং স্বাদ পরীক্ষা করে এর ভবিষৎ নিয়ে বেশ আশাবাদী আমরা । মাল্টা চাষের এই সফলতা আগামীতে কৃষককে আরো অনুপ্রেরণা যোগাবে এমনটাই মনে করি আমরা।
ঠাকুরগাঁও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কে এম মাঈদুদুল ইসলাম জানান, ঠাকুরগাঁয়ের মাটি অনেক উর্বর ও মাল্টা চাষের উপযোগী। তাই আমরা কৃষি বিভাগ প্রথমে বেলাল হোসেনকে পরামর্শ দেই মাল্টা চাষ করার জন্য। ঠাকুরগাঁওয়ের মাল্টা অনেক অনেক সুস্বাদু ও বড় বড় আকারের হয়। তাই আমরা আশা করি আগামীতে বাণিজ্যিকভাবে ঠাকুরগাঁওয়ে মাল্টা চাষে অনেক এগিয়ে আসবে ।
বাংলাদেশ সময়: ১১৩০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৬, ২০১৭
বিএস