এই ফল শুধু রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেই সাহায্য করে না, একইসঙ্গে ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়। এতো সব উপকারী একটি ফল ঠাকুরগাঁওয়ে বাণিজ্যিক চাষাবাদে ছিল অবহেলিত।
কৃষি সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এ জেলার জমি ও আবহাওয়া বেশ ভালো জলপাই চাষের জন্য। ঠাকুরগাঁও জেলায় প্রত্যেকটি বাড়িতে একটি-দুইটি করে জলপাই গাছ দেখা যায়। এর বিস্তার ঘটানো গেলে বাণিজ্য প্রসার করা সম্ভব। ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার বড়গাও ইউনিয়নের মোলান খুড়ি গ্রামের আশরাফুল বাংলানিউজকে বলেন, আমি শখ করে বাড়ির পাশে দুইটি জলপাই গাছ লাগিয়েছি। এই গাছ দুই থেকে তিন বছরের মধ্যে ফল দেয়। জলপাই গাছে এতো ফল আসে; যা পাতা থেকে ফল বেশি। এই ফলের অনেক চাহিদা। ফলে বাজারে নিয়ে বিক্রি করতে হয় না। বাড়িতে পাইকার এসে নিয়ে যান।
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার আকচা ইউনিয়নের দক্ষিণবঠিনা গ্রামের শামীম বলেন, আমি আমার বাড়িতে একটি জলপাই গাছ লাগিয়েছি। শীতের শুরুতে এর ফল দেওয়া শুরু হয়। ফল পাতার থেকে বেশি। প্রাথমিক পর্যায়ে দাম ২০ থেকে ৩০ টাকা কেজি। উৎপাদনে খরচ কম, লাভ বেশি। ফলে বাণিজ্যিকভাবে চাষ করলে মন্দ হয় না।
ঠাকুরগাঁও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক কে এম মাঈদুদুল ইসলাম বলেন, জেলায় ২৭ হেক্টর জমিতে জলপাই গাছ রয়েছে। এবার ৬৫-৬৬ মেট্রিক টন ফল উৎপাদন হয়েছে। জলপাই দিয়ে আচার, চাটনি, জ্যাম-জেলি প্রভৃতি তৈরি করা হয়। গাছে তেমন কোনো পোকামাকড় ও রোগ বালাই আক্রমণ করে না। বাংলাদেশের মাটিতে যেকোনো স্থানে সহজে জন্মাতে পারে। তাই এ পুষ্টি সমৃদ্ধ ফলটি চাষ করে পরিবার ও দেশের চাহিদা মিটিয়ে অতিরিক্ত ফল বিদেশে রফতানি করা যেতে পারে।
কেবল গ্রাম বা জেলা শহর নয়, ঢাকাসহ বড় শহরে জলপাই গাছ লাগানো যেতে পারে অতি সহজেই, যোগ করেন তিনি।
এছাড়া ফল হিসেবেই নয়, এর তেলও খুব স্বাস্থ্যকর। জলপাই তেলে এমন অনেক গুরুত্বপূর্ণ উপাদান রয়েছে, যেগুলো আমাদের শরীরকে সুস্থ-সুন্দর রাখতে সাহায্য করে। খাবারে জলপাইয়ের তেল ব্যবহারে শরীরের খারাপ কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে থাকে।
বাংলাদেশ সময়: ১০৩৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৫, ২০১৭
আইএ