বেগুনসহ বিষমুক্ত সবজি উৎপাদনে মাঠ দিবস ও বিভিন্ন প্রদর্শনীর মাধ্যমে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করছে কৃষি বিভাগ।
কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, স্বাস্থ্যসম্মত ও পরিবেশবান্ধব সবজি উৎপাদনে আইপিএম লাগসই প্রযুক্তি।
উপজেলার চুনিয়াপাড়া এলাকার সফল কৃষক বাবলু কোম্পানি বাংলানিউজকে বলেন, ‘জমিতে কীটনাশক ছাড়াই বেগুনের চাষ করে বিষমুক্ত সবজি খাচ্ছি ও বাজারে বিক্রি করছি। নিমপাতা, ছাই আর সেক্স ফেরোমন ফাঁদ ব্যবহার করি। এতে আগের তুলনায় ফলনও ভালো’।
শিহাব উদ্দিন বলেন, ‘কীটনাশকের পরিবর্তে সেক্স ফেরোমন ফাঁদ ব্যবহার করে ভালো উপকার পেয়েছি’।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রমেশ চন্দ্র ঘোষ বলেন, ‘দেশে উৎপাদিত সবজির চাহিদা দিন দিন বাড়ছেই, রফতানি হচ্ছে দেশের বাইরেও। পাশাপাশি বাড়ছে নানা ধরনের ক্ষতিকর পোকা-মাকড়ের আক্রমণ। চাষিরা এসব পোকা দমনে বেগুনের ক্ষেতে অতিমাত্রায় রাসায়নিক কীটনাশকের ওপর নির্ভরশীল। এতে তারা আর্থিক ও শারীরিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন’।
‘আইপিএম পদ্ধতিতে বিষ ব্যবহার না করেও বেগুন উৎপাদনে মাঠ দিবসের মাধ্যমে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করছি’।
কীটনাশকে বেগুন চাষকারী চুনিয়াপাড়া এলাকার কৃষক তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ‘বেগুন ক্ষেতে পাখির উপদ্রব ঠেকাতে জাল দিয়েছি। আর পোকা থেকে বাঁচতে সপ্তাহে ১-২ বার কীটনাশক দিচ্ছি। চারদিন আগে বিষ দিয়েছি। তবে কুয়াশায় বিষের কার্যকারিতা একদিনের বেশি থাকছে না’।
‘আমি এ বছর দেড় বিঘা জমি বর্গা নিয়ে বেগুনের চাষ করেছি। জমি বাবদ ২১ হাজার টাকাসহ মোট খরচ হয়েছে ৮৬ হাজার টাকা। ইতোমধ্যে ৪০ হাজার টাকার বেগুন বিক্রি করেছি। এখনো লাখখানেক টাকা আয় হবে বলে আশা করছি’।
আরেক কৃষক সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘আমার এক বিঘা জমিতে সপ্তাহে ৫০০ টাকার বিষ লাগে’।
বাংলাদেশ সময়: ১১৩০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৫, ২০১৭
এএসআর
** জলপাই চাষে ঝুঁকছেন চাষীরা