মাগুরা সদর উপজেলার আঠারোখাদা, মঘি, আঙ্গারদাহ, শেখপাড়া, শালিখার শতখালী, রামচন্দ্রপুরসহ বিভিন্ন মাঠ ঘুরে দেখা গেছে কৃষকরা এবার কমিউনিটি পদ্ধতিতে বীজতলা তৈরি করেছেন।
সদরের আড়াইশত গ্রামের পরিমল বিশ্বাস, কুমারেশ বিশ্বাসসহ একাধিক কৃষক বাংলানিউজকে বলেন, অতীতে তারা নিজেদের ইচ্ছেমতো যেখানে সেখানে বীজতলা তৈরি করতেন।
এবার বোরো মৌসুমে এ চারা রোপণ করে যেমন ধানের ফলন ভালো পাবেন কৃষকরা, তেমনি এবার চারার সংকট না থাকায় অতীতের তুলনায় অধিক জমিতে ধানের আবাদও করতে পারবেন। তাদের মতে গত মৌসুমে দাম বেশি পাওয়ায় কৃষকরা চলতি মৌসুমে বেশি জমিতে ধান চাষে আগ্রহ দেখাচ্ছেন।
সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রুহুল আমিন বাংলানিউজকে বলেন, ‘এ বছর সদর উপজেলায় ৩৪টি স্থানে কমিউনিটি বীজতলাসহ ৪ উপজেলায় ২ শতাধিক কমিউনিটি ও আদর্শ বীজতলা তৈরি করা হয়েছে। এতে সব দিক দিয়ে কৃষকরা লাভবান হচ্ছেন। কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কৃষকদের সব ধরনের সহযোগিতা ও পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। কমিউনিটি বীজতলা তৈরির ফলে চলতি মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ জমিতে বোরো ধানের চাষ হবে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক পার্থ প্রতিম সাহা বাংলানিউজকে বলেন, চলতি মৌসুমে জেলায় ১৫শ’ হেক্টর জমিতে বীজতলা ও ৩১ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। কিন্তু সেখানে বীজ তলা তৈরি হয়েছে প্রায় দ্বিগুণ ২৬শ’ হেক্টর জমিতে। যে কারণে চলতি মৌসুমে বোরো ধানের চাষও দ্বিগুণ হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২০ ঘণ্টা, ০৮ জানুয়ারি, ২০১৮
আরএ