সোমবার (১৫ জানুয়ারি) জাতীয় সবজি মেলার দ্বিতীয় দিনে প্রচুর দর্শনার্থীর সমাগম ঘটেছে। মেলার প্রবেশ মুখেই ডান পাশে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের স্টল।
খাদ্যের পুষ্টিমান সম্পর্কে জনসাধারণকে সচেতন করতে বাংলাদেশ ফলিত পুষ্টি গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট (বারটান) তাদের স্টলে নিয়েছে নানা উদ্যোগ। একজন পুষ্টি বিশেষজ্ঞ সার্বক্ষণিক স্টলে আসা দর্শনার্থীদের ওজন ও উচ্চতা পরিমাপ করে পুষ্টি ও দৈনন্দিন খাদ্যাভাস সম্পর্কে পরামর্শ দিচ্ছেন।
এ সম্পর্কে বারটানের প্রকল্প পরিচালক ও ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা জ্যোতিলাল বড়ুয়া বলেন, প্রতিদিন আমাদের চারশ’ গ্রাম ফলমূল ও শাকসবজি খাওয়া প্রয়োজন। অথচ আমরা খাচ্ছি গড়ে ২৫২ গ্রাম। ফলে এ সব উৎস থেকে আসা পুষ্টির অভাবে আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাচ্ছে। এতে রাতকানা, হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ ও ক্যান্সারের মতো রোগের ঝুঁকি বেড়ে যাচ্ছে।
মেলায় বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি) তাদের উদ্ভাবিত বিভিন্ন শাকসবজি ও ফলমূল প্রদর্শন করছে। হাইড্রোফোনিক (মাটি ছাড়া শুধু পানিতে চাষ) পদ্ধতিতে ফসল ফলানো ও দেশে প্রথমবারের মতো শৈবাল চাষের পদ্ধতি বারি’র স্টলে প্রদর্শন করা হচ্ছে।
এ ছাড়া মেলায় বিভিন্ন স্টলে সতেজ সবজি প্রদর্শনের পাশাপাশি বিক্রিও করা হচ্ছে। রয়েছে বিভিন্ন স্টলে মাশরুমের প্রদর্শনী ও মাশরুম দিয়ে তৈরি বিভিন্ন খাদ্যের ব্যবস্থা। দেশের বিভিন্ন বেসরকারি সিড কোম্পানিগুলো মেলায় বিভিন্ন সবজির সিড প্রদর্শন ও বিক্রয় করছে। এছাড়া মেলায় প্রদর্শনের পাশাপাশি কৃষির বিভিন্ন উপকরণ, বিভিন্ন সবজির চারা ক্রয়েরও সুযোগ রয়েছে।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে আয়োজিত তিন দিনব্যাপী এ মেলায় দেশে উৎপাদিত বিভিন্ন সবজি ও তার পুষ্টিমান সম্পর্কে জানার পাশাপাশি মিলছে সতেজ ও কেমিকেলমুক্ত সবজি ক্রয়ের ব্যবস্থা। মেলায় দেশের সরকারি, বেসরকারি ও এনজিও মিলে ৮০টি প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করেছে। প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত দর্শনার্থীদের জন্য মেলা খোলা থাকছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৫, ২০১৮
আরআর