একদিকে সকাল ১০টার আগে যেমন ঘর থেকে বের হওয়া যায় না অন্যদিকে পড়ন্ত বিকেলের গোধূলী লগ্নে ঘন কুয়াশার চাদরে ঢেকে যায় বদরগঞ্জের রাস্তাঘাট পথ প্রান্তর। ঘন কুয়াশার সঙ্গে লু হাওয়া এ যেন ত্রাহি ত্রাহি অবস্থা।
এর প্রভাব পড়েছে বীজতলা গুলোতেও। প্রথমে বীজতলাগুলো হলুদাভ বর্ণ ধারন করছে এবং তা দ্রুতই মরে যাচ্ছে।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, গোটা উপজেলায় বীজতলা রয়েছে ৯১৫ হেক্টর জমিতে। সালফার ও ইউরিয়ার মিশ্রনে তৈরি সলিউশন ব্যবহারে কোল্ড ইনজুরিতে আক্রান্ত বীজতলা রক্ষা করা সম্ভব।
সোমবার (১৫ জানুয়ারি) সরেজমিনে উপজেলার বীজতলা ঘুরে কোল্ড ইনজুরিতে আক্রান্ত হয়ে বীজতলা নষ্টের দৃশ্যই চোখে পড়ে।
এ বিষয়ে উপজেলার রামনাথপুর ইউপি’র খিয়ারপাড়া গ্রামের কৃষক নওশাদ আলির সঙ্গে বাংলানিউজের কথা হয়। তিনি বলেন, ঘন কুয়াশা আর প্রচণ্ড শীতে আমার বীজতলা হলুদাভ বর্ণ ধারন করে দ্রুত মরে যাচ্ছে। কি করলে বীজতলা রক্ষা করতে পারবো জানি না। কৃষি অফিস এখন পর্যন্ত কোনো খোঁজখবর নেয়নি।
লোহানীপাড়া ইউপির উত্তরপাড়া গ্রামের কৃষক যাদু মিয়ার বাংলানিউজকে বলেন, প্রচণ্ড শীত আর কুয়াশায় বীজতলা আক্রান্ত হয়ে মরে যাচ্ছে। তাই বাধ্য হয়ে আবারও নতুন বীজতলা তৈরির প্রস্তুতি নিচ্ছি।
সরকারি কোনো কর্মকর্তা এসে এখন পর্যন্ত বীজতলা রক্ষায় কোনো পরামর্শ দেয়নি বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
বদরগঞ্জ উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা কনক রায় বাংলানিউজকে বলেন, অতিরিক্ত শীত ও ঘন কুয়াশায় বীজতলা হলুদাভাব হয়ে গেছে। কৃষকদেরকে সালফার ও ইউরিয়ার মিশ্রনে সলিউশন ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছি। এছাড়া বীজতলায় যাতে বাইরের পানি না ঢোকে এবং ওপরে পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। তাহলেই বীজতলা কোল্ড ইনজুরি থেকে রক্ষা পাবে।
বদরগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাহবুবর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, শীত ও ঘন কুয়াশায় বীজতলা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। তবে তাপমাত্রা বাড়লেই এ সমস্যা কেটে যাবে।
উপজেলাজুড়ে কৃষি অফিসের কর্মকর্তা ও কর্মচারিরা কৃষকদেরকে বীজতলা রক্ষায় বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন বলেও জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ২০০৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৫, ২০১৮
জিপি