কৃষি বিভাগের দাবি বন্যা আর বৃষ্টির প্রভাবই এমনটি হয়েছে।
কৃষকরা জানান, এ বছর জেলায় কাঁঠিলাল, হলেন্ডারসহ প্রায় ৬ জাতের আলু চাষ হয়েছে।
গত মৌসুমে এ অঞ্চলের যেসব কৃষক কোল্ড স্টোরেজে আলু রেখেছিলেন লোকসানের কারণে তাদের বেশিরভাগই এখনও আলু বের করতে পারেননি। কারণ ৫০ কেজির প্রতি বস্তা আলু রাখার জন্য কৃষকদের খরচ দিতে হয় ৭শ‘ টাকা। কিন্তু এখন আলু নিতে গেলে দিতে হবে ১ হাজার টাকা পর্যন্ত। যার বিপরীতে বাজারে আলুর দাম প্রতি মণ সাড়ে ৬’শ টাকা পর্যন্ত। অর্থাৎ এ অবস্থায় আলু নিতে গেলে লোকসান হবে সাড়ে ৩শ’ টাকা পর্যন্ত।
মান্দা উপজেলার দেলুয়াবাড়ি গ্রামে আলু চাষি মোজাম্মেল মিয়া বাংলানিউজকে জানান, মোট তিন বিঘা জমিতে আলু চাষ করেছি। এ বছর আলুতে লাভ হবে না। বিঘাপ্রতি ৬০ থেকে ৭০ মণ আলু উৎপাদনের আশা করা হলেও তা পাওয়া যাচ্ছে না। একে তো আলুর ফলন কম তারপর আবার গায়ে দাগ আর পচন দেখা দিয়েছে। সব মিলিয়ে এবার আলুতে খুব লোকসান হবে। এভাবে যদি প্রতি বছর আলুতে লোকসান হয়। তাহলে চাষিরা আর আলু চাষ করতে পারবে না।
একই গ্রামের আজাহার বাংলানিউজকে জানান, এসব জমিতে সাধারণত বিঘা প্রতি ৬০ থেকে ৭০ মণ হারে আলু হয়ে থাকে। কিন্তু এ বছর তা নেমে দাঁড়িয়েছে গড়ে ৩০ মণ পর্যন্ত। শুধু তাই নয় আলুর গায়ে দাগ আর পচন থাকায় দামও মিলছে না আশানুরূপ। তিনি আরও বলেন, গত বছরের চেয়ে এ বছর আলুর আবাদও হয়েছে অনেক কম।
মান্দা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম প্রামাণিক বাংলানিউজকে জানান, গত বছর জেলায় আলু চাষ হয়েছিল প্রায় সাড়ে ২৪ হাজার হেক্টর জমিতে। যেখানে এ বছর তা কমে দাঁড়িয়েছে প্রায় ২১ হাজার হেক্টর। বন্যা কবলিত জমিতে ময়েশ্চার বেড়ে যাওয়া এবং অনাকাঙ্খিত বৃষ্টির কারণে এবারে ফলনে বিপর্যয় ঘটেছে। তবে আলুর গায়ে দাগ ও পচন রোধে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ০৪৪৬ ঘণ্টা, ১৭ জানুয়ারি, ২০১৮
আরএ