জেলার আম গাছের কচি শাখায় শোভা পাচ্ছে মুকুল। আমের শাখায় শাখায় উড়ে বেড়াচ্ছে মৌমাছি।
আম গাছে মুকুল আসার আগ থেকেই পরিচর্যা শুরু করেছেন স্থানীয় চাষিরা। আম বাগানগুলোতে ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা। মুকুল টিকিয়ে রাখতে প্রতিনিয়ত বালাইনাশক প্রয়োগ করছেন চাষিরা।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, দিনাজপুর জেলায় চলতি মৌসুমে প্রায় চার হাজার হেক্টর জমিতে আম চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এবার গত মৌসুমের চেয়ে বেশি জমিতে আম চাষ হবে। মুকুল টিকিয়ে রাখতে চাষিদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ বজায় রাখছে কৃষি বিভাগ। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবার আমের বাম্পার ফলন হওয়ার আশা করছে কৃষি বিভাগ।
দিনাজপুর জেলার সদর উপজেলার বাশেরহাট এলাকার আম চাষি মো. মমিনুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, মুকুল আসার সপ্তাহ আগ থেকে তিনি গাছের পরিচর্যা করতে শুরু করেছেন। ঘন কুয়াশার কারণে মুকুল কিছুটা ঝরে গেছে। অবশিষ্ট মুকুল টিকিয়ে রাখতে কৃষি বিভাগের পরামর্শ মোতাবেক বিভিন্ন পদ্ধতিতে বালাইনাশক প্রয়োগ করছেন। অনুকূল আবহাওয়া থাকলে এবার আমের বাম্পার ফলন হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
দিনাজপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মো. তৌহিদুল ইকবাল বাংলানিউজকে জানান, চলতি মৌসুমে জেলার প্রায় চার হাজার হেক্টর জমিতে আম চাষ হবে। সবে গাছে মুকুল আসতে শুরু করেছে। ইতোমধ্যেই চাষিরা গাছের পরিচর্যা শুরু করেছেন। চাষিদের কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা সার্বিক সহযোগিতা করছেন। কৃষি কর্মকর্তারা চাষিদের নিয়মিত পরামর্শ দিচ্ছেন। আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে গাছে পরিপূর্ণ মুকুল আসবে বলে আশা করেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪০ ঘণ্টা, ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮
আরআর