প্রাণিসম্পদ বিভাগের মতে, আগামী দু’য়েক বছরের মধ্যে হাঁস, মুরগি কিংবা গরু-খাসির চেয়েও টার্কি মুরগির মাংসের চাহিদা অনেক বেশি হবে।
জানা যায়, ব্রয়লার কিংবা দেশি যেকোনো মুরগি বা হাঁসের চেয়ে এসব টার্কির রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক বেশি।
রানীনগর উপজেলার পালশা গ্রামের টার্কি খামারি সুমি আখতার বাংলানিউজকে জানান, ছয়টি টার্কি দিয়ে শুরু করা তার খামারে এখন টার্কির সংখ্যা ৫৬টি। তবে বছরজুড়ে চাহিদা কিছুটা কম থাকলেও শীতের শুরুতেই এ মাংসের চাহিদা বেশ বেড়ে যায়।
জেলার সদর উপজেলার বাঙ্গাবাড়ীয়া এলাকার সালাউদ্দিন উজ্জ্বল নামে আরেক খামারি বাংলানিউজকে জানান, টার্কির এক কেজি মাংসের দাম ৪০০ টাকা বা তার বেশিও হয়। ওজন বেশি হওয়ায় যারা নিম্ন বা মধ্যবিত্ত তারা সাধারণত একটি কিনে অনেকে মিলে ভাগ করে নেন।
তিনি আরো জানান, টার্কি পালনে খরচ কম। কিন্তু লাভ বেশ ভালোই হয়। আর নিজেদের ইনকিউবেটর যন্ত্রে বাড়িতেই ফোটানো হয় বাচ্চা।
এ বিষয়ে জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. উত্তম কুমার দাস বাংলানিউজকে বলেন, এসব পাখির মাংসে চর্বি ও কোলেস্টেরলের পরিমাণ খুবই কম। আর নরম মাংস হওয়ায় সিদ্ধও হয় তাড়াতাড়ি।
তিনি আরও বলেন, জেলায় যেভাবে টার্কি খামার গড়ে উঠছে তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে এর মাংসের চাহিদাও। তাই এমন খামার অর্থনীতির চাকা আরো গতিশীল করবে।
বাংলাদেশ সময়: ০২১৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০১৮
এনটি/এএ