মুকুলের মৌ মৌ গন্ধে মৌমাছির গুনগুন শব্দে মুখরিত আম বাগান। কয়েক দিনের মধ্যে আমের মুকুল পরিনত হবে এক পরিপূর্ণ দানায়।
সরেজমিনে রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) উপজেলার বিভিন্ন আম বাগান ঘুরে এ চিত্রই চোখে পড়ে। দেখা যায়, কৃষকরা বাগানে পানি সেচের ব্যবস্থা করছেন, কেউবা ভিটামিন প্রয়োগ করছেন।
কথা হয় উপজেলার রামনাথপুর ইউপির ঝাকুয়াপাড়া গ্রামের আম বাগান মালিক হাসান আল মাহামুদের সঙ্গে। তিনি বাংলানিউজকে জানান, এবার ৩০ বিঘা জমিতে আমের চাষ করেছেন। সবেমাত্র গাছে মুকুল আসতে শুরু করেছে। মুকুল রক্ষায় এ সময়টাতে ব্যাপক পরিচর্যা দরকার। তা না হলে আমের মুকুল নষ্ট হয়ে যাবে। তাই বাগানে পরিচর্যায় ব্যস্ত শ্রমিকরা।
তিনি আরো জানান, গত বছর আমি ৪৫ লাখ টাকার আম বিক্রি করেছি। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এখন পর্যন্ত যে পরিমাণ মুকুল এসেছে, তাতে গত বছরের চাইতে বেশি টাকার আম বিক্রি করতে পারবো।
উপজেলার কালুপাড়া ইউপির আম বাগান মালিক মাহাফুজ ওয়াহিদ চয়নের জানান, আমার ২০ বিঘা জমিতে হাড়ি ভাঙ্গা জাতের আম বাগান রয়েছে। গত বছর ওই বাগান থেকে আমি ২০ লাখ টাকার আম বিক্রি করেছি।
ঠিকভাবে বাগান পরিচর্যা করতে পারলে কাঙ্খিত আম পাওয়া যাবে না। তাই কৃষি শ্রমিক নিয়ে বাগান পরিচর্যা করছেন বলেও জানান ওয়াহিদ চয়ন।
বদরগঞ্জ উপজেলা উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা কনক রায় জানান, গোটা উপজেলায় ৩৭৫ হেক্টর জমিতে আম বাগান রয়েছে। আম চাষ লাভজনক হওয়ায় এ উপজেলায় দিন দিন আমের চাষের চাহিদা বাড়ছে। ইতোমধ্যে আম বাগানে মুকুল হতে গুটি আসা শুরু হয়েছে। এখন পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকূলে রয়েছে। আশা করছি এবারও আমের ফলন ভালো হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০৮১৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০১৮
ওএইচ/