কিন্তু এবছর মাঘ মাসের শুরু থেকেই সারা দেশে পানের বাজার গরম। যোগান কমের অজুহাতে যা এখন ধারণ করছে অগ্নিরূপ।
পাইকারি বাজারগুলোতে যে পান বিড়াপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকায় তা খুচরা বাজারে একশ টাকা বা তার বেশিতে বিক্রি হচ্ছে। এর প্রভাব পড়েছে খুচরা বাজারে। বিরূপ প্রভাবে পানে আসক্তরা পড়েছেন বিপাকে। অনেকে ইতোমধ্যে কমিয়ে দিয়েছেন পান খাওয়া। অনেকে খুচরা ব্যবসায়ী ক্রেতার সঙ্গে ঝামেলা এড়াতে ছেড়ে দিয়েছেন পান বিক্রি। নিয়মিত পান খান এমন এক কর্মজীবী রাসেল মিয়া বাংলানিউজকে বলেন, গত কয়েক সপ্তাহ ধরে খুচরা বাজারে খিলি পানের দর অনেকটাই বেশি। এক পিস খিলি পান ৫ টাকার স্থলে ৮ টাকায় কিনতে হচ্ছে। আবার অনেক ক্ষেত্রে অর্ধেক পান কিনছি ৫ টাকায়।
বিবিরপুকুর পাড়ের ব্যবসায়ী জসিম জানান, পানের দাম বাড়লেও কাস্টমার বাড়তি টাকা দিতে চায় না। চার টাকায় কেনা এক পিস পান-সুপারি, জর্দা-চুন দিয়ে ৫ টাকায় বিক্রি করা সম্ভব নয়। তাই গত দুই মাস ধরে পান বিক্রি বন্ধ।
উজিরপুরের ইচলাদি হাটের ব্যবসায়ী আয়নাল সিকদার বলেন, যোগান কমে যাওয়ায় মাঘ মাস থেকেই পানের দাম বাড়তে থাকে। বর্তমানে পানের দাম অনেকটাই বেশি। পাইকারি বাজারে বর্তমানে আকার ও মান অনুযায়ী ৭২ পিস বা এক বিড়া পান বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে আড়াইশ টাকা পর্যন্ত। বৈশাখ মাসে পানের দাম কমে যাবে।
উজিরপুরের পানচাষি গৌরাঙ্গ জানান, নিয়মানুযায়ী নতুন করে পাতা উৎপাদন না হওয়ায় মাঘ মাস থেকে পানের যোগান কমে গেছে। গতবার বর্ষায় পানের বরজ ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। তাই এ অবস্থা। অল্পদিনের মধ্যে বাজারের অবস্থা স্বাভাবিক হবে।
বরিশালের বাজার রোডের পাইকারি পানের বিক্রেতা মাখন ব্যাপারী বলেন, ভরা মৌসুমে একটি ভ্যানে যদি ৫শ টাকা খরচ করে ১ হাজার বিড়া পান আনা হতো তার বিড়া প্রতি খরচ পড়তো আধা পয়সা। আর সেই ভ্যানে যদি এখন ১শ বিড়া পান আনতে হয় তবে বিড়া প্রতি খরচ হয় ৫ টাকা। যারা শুধু পানের ব্যবসা করছেন তাদের সেই বাড়তি দামে পান কেনা ছাড়া কোনো উপায় নেই। তাই পাইকারি হাটের সঙ্গে খুচরা বাজারে পানের তারতম্য একটু থাকবেই।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৮ ঘণ্টা, মার্চ ০১, ২০১৮
এমএস/এএটি/এএ