ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

কৃষি

শেষদিনেও জমজমাট পোল্ট্রি এক্সপো

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭২২ ঘণ্টা, মার্চ ২৪, ২০১৮
শেষদিনেও জমজমাট পোল্ট্রি এক্সপো শেষদিনেও জমজমাট পোল্ট্রি এক্সপো। ছবি: ডিএইচ বাদল

ঢাকা: ঢাকায় ফুড অ্যান্ড অ্যাগ্রো, অ্যাগ্রোক্যাম এবং পোল্ট্রি অ্যান্ড লাইভস্টক ইন্টারন্যাশনাল এক্সপো-২০১৮ শেষদিনও ক্রেতা দর্শনার্থীর পদচারণায় মুখর হয়ে উঠেছে।

বাংলাদেশের খাদ্যশিল্প খাতকে সমৃদ্ধ করতে চার দিনব্যাপী কৃষিসামগ্রী ও উপকরণ সম্পর্কিত এ এক্সপো বুধবার (২১ মার্চ) রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) শুরু হয়। এক্সপোর আয়োজন করেছে সেমস গ্লোব্লাল।

এক্সপোতে খাদ্যপণ্য, পানীয়, কৃষিজাত পণ্য, পোল্ট্রি পণ্য, কৃষি উপকরণ, পণ্য প্রক্রিয়াকরণ মেশিনারিজ, রাসায়নিক উপকরণ, প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ও বিপণনের সমাহার রয়েছে।

শনিবার (২৪ মার্চ) সকালে এক্সপোতে গিয়ে দেখা যায়, অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানের কর্তাব্যক্তিরা ব্যস্ত সময় পার করছেন। স্টলগুলোতে খামার তৈরির সরঞ্জাম, খাদ্য সামগ্রী, হাস, মুরগি ও গবাদি পশুর দেওয়ার ভ্যাকসিনের বিষয়ে খোঁজ নিতে দেখা গেছে দর্শনার্থীদের।

কাজী পেপার কাপ ইন্ড্রাষ্ট্রির মালিক কাজী সাজেদুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, পরিবেশবান্ধব পেপার কাপ, প্লেট ও গ্লাসের প্রতি বড় বড় শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোর পাশাপাশি সাধারণ ক্রেতাদেরও ব্যপক আগ্রহ রয়েছে। এক্সপোতে শিল্প প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি ব্যক্তি পর্যায়ে বেশ অর্ডার পেয়েছি।

প্যারাগণ পোল্ট্রি অ্যান্ড হ্যাচারিজ’র বিক্রয়কর্মী শওকত হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, এক্সপোতে ক্রেতা ও দর্শনার্থীদের আগমন ছিল সন্তোষজনক। বিক্রিও হয়েছে ভালো। প্রতিদিনই উল্লেখ করার মতো ক্রেতাদের আগমন ঘটেছে।

বিভিন্ন দেশের খাদ্য পণ্য বিক্রয় প্রতিষ্ঠান কিউঅ্যান্ডকিউর বিক্রয় প্রতিনিধি রেজাউল করিম বাংলানিউজকে বলেন, পোল্ট্রি এক্সপো ছাড়াও এর আগে আরও বেশ কয়েকটি প্রদর্শনীতে অংশ নিয়েছি। সেসব জায়গায় তেমন সাড়া মেলেনি।

এক্সপো ঘুরে দেখা যায়, এ খাতের উদ্যোক্তাদের পাশাপাশি নতুন করে খামার দিতে আগ্রহীরাও এসেছেন। এদের একজন দেলোয়ার হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, বর্তমানে চাকরির বাজার খুব একটা ভালো না। এই এক্সপো থেকে খামার সর্ম্পকে খবর নিয়ে নিজেই ব্যবসা শুরুর চিন্তা করছি।

আয়োজকরা জানান, ক্রেতা, পরিবেশক ও উদ্যোক্তা কৃষির আনুষঙ্গিক উপকরণ ও নতুন নতুন প্রযুক্তির সঙ্গে পরিচিত হতে পারবে। উত্পাদক ও ভোক্তার সরাসরি আলাপচারিতায় প্রদর্শনীটি ওয়ান স্টপ প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করছে। এতে বাংলাদেশের খাদ্য শিল্পের বাজার সম্প্রসারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে।

এক্সপোতে থাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, শ্রীলঙ্কা, চীন, রাশিয়া, ভিয়েতনাম, ভারত ও বাংলাদেশের খাদ্যপণ্য, কৃষিজাত উপকরণ উত্পাদন ও প্রক্রিয়াকরণ শিল্পের প্রায় ১৩০টি প্রতিষ্ঠান ১৮০টি স্টল অংশ নিয়েছে। এক্সপোর পর্দা নামবে শনিবার (২৪ মার্চ) রাত ৮টায়।

বাংলাদেশ সময়: ১৩২২ ঘণ্টা, মার্চ ২৪, ২০১৮
এসই/জিপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।