সম্প্রতি পাল্টেছে সেই দৃশ্যপট। এখন দৃষ্টিজুড়ে শুধুই সবুজের সমারোহ।
ভূগর্ভস্থ পানির স্তর অনেক নিচে হওয়ায় সোলার প্যানেলের মাধ্যমে নদীর পানি নিয়ে যাওয়া হচ্ছে কয়েক কিলোমিটার দূরের আবাদি জমিতে। যেখানে প্রথম ধাপে কয়েকটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন মোটর দিনরাত নদীর পানি তুলে পৌঁছে দিচ্ছে জমি সংলগ্ন খালে। আর সেই খাল থেকে সেচের পানি চলে যাচ্ছে জমিগুলোতে। আর এতেই ধান-ডালসহ বিভিন্ন ফসল আবাদ হচ্ছে বছরজুড়ে। উপজেলার কাশিমপুর গ্রামের কৃষক কামরুজ্জামান বাংলানিউজকে জানান, আগে পানির অভাবে আমরা জমিতে চাষাবাদ করতে পারতাম না। বেশির ভাগ জমি পানির অভাবে পরে থাকত। কিন্তু এখন সমিতির মাধ্যমে পানি নিয়ে বছরজুড়ে চাষাবাদ করা যায়। আর সমিতির মাধ্যমে পানি নিতে প্রতি একরে মৌসুম জুড়ে দিতে হয় ৪ হাজার টাকা। আবার মৌসুম শেষে বেচে যাওয়া টাকা বন্টন করা হয় কৃষকদের মধ্যেই।
নওগাঁ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মনোজিত কুমার মল্লিক বাংলানিউজকে জানান, ভারি ধাতব আয়রন ও আসের্নিকের মত ক্ষতিকর পদার্থ না থাকায় ভূ-উপরিভাগের পানি জমির জন্য সবচেয়ে উপকারী। তাই এসব জমিতে ফলন বৃদ্ধি পাবে বলে জানান এ কর্মকর্তা।
বরেন্দ্র উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের ধামইরহাট উপজেলা প্রকৌশলী হাবিবুল আহসান বাংলানিউজকে জানান, এ পদ্ধতিতে একদিকে যেমন ভূগর্ভস্থ পানির ব্যবহার কমছে তেমনি বিদ্যুৎ বা জ্বালানি তেলের মোটা ব্যয় থেকে বেচে যাচ্ছে কৃষক। আর তাই আগামীতে এ প্রকল্প এলাকা বৃদ্ধি করার পরিকল্পনা আছে তাদের। তিনি আরও জানান, বরেন্দ্র উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের এ প্রকল্প বাস্তবায়নে সরকারের ব্যয় হয়েছে মাত্র সাড়ে ১০ কোটি টাকা।
বাংলাদেশ সময়: ০৯২৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৫, ২০১৮
আরএ