দেশের অন্যান্য জেলারও টমেটো একইসঙ্গে বাজারে উঠায় কোথাও এর দাম নেই। এবারে ভালো আবহাওয়া থাকায় ও ক্ষেতে তেমন কোনো রোগবলাই আক্রমণ না করায় বাম্পার ফলন হয়েছে টমেটোর।
দিনাজপুর সদর উপজেলার কমলপুর ইউনিয়নের আটোর গ্রামের টমেটো চাষি মো. মমিনুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, প্রতিবছরের মতো এবারও তিনি সাত বিঘা জমিতে টমেটো চাষ করেছেন। প্রতি মণ টমেটো উৎপাদনে খরচ গুনতে হয়েছে বাজার দরের চেয়ে অনেক বেশি। প্রথম দিকে টমেটো বাজারে প্রতি মণ টমেটো বিক্রি হয় ১ শ থেকে ১শ ২০ টাকায়। যা বর্তমানে বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ২ শ ৫০ থেকে ৩ শ টাকা মণ।
প্রথম দিকে কৃষককে যে দামে টমেটো বিক্রি করেছে তাতে লোকসানে পড়ছেন তারা। এছাড়া বর্তমান বাজার দাম বেশি হলেও গাছের টমেটো শেষের দিকে।
তিনি আরও জানান, গত বছরের তুলনায় এবার টমেটোর বাম্পার ফলন হয়েছে। ফলন ভালো হলেও বাজার দর তেমন নেই। গতবছরে রোগ-বালাইয়ের আক্রমণে অতিরিক্ত খরচে গুনতে হয় লোকসান। এ ধরনের পরিস্থিতি চলতে থাকলে টমেটো চাষ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবেন কৃষকরা।
উত্তরাঞ্চলের সবচেয়ে টমেটো বাজার ইজারাদার মো. মমিনুল ইসলাম জানান, মৌসুম এলেই প্রতিনিয়ত এই বাজারে প্রায় ছয় থেকে সাড়ে ৬শ মণ টমেটো কেনা-বেচা হয়। এখানে প্রায় ২০ বছর থেকে টমেটো বাজার বসে। উত্তরের সবচেয়ে বড় এই টমেটো বাজারে ভোর থেকে প্রায় সকাল ৯টা পর্যন্ত চলে কেনা-বেচা হয়। এখানকার টমেটো ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় যায়। গত বছর থেকে স্থানীয় কৃষকরা টমেটো চাষ করে লোকসানের মুখে পড়ছে। কৃষকরা দীর্ঘদিন থেকে টমেটোর একটি হিমাগারের দাবি জানিয়ে আসছেন।
ঢাকা থেকে আগত টমেটো বিক্রেতা মো. রুস্তম আলী জানান, শুধু দিনাজপুরেই নয় রাজধানীসহ দেশের যেসব জেলায় টমেটো চাষ হয় কিন্তু এবার একসঙ্গে বাজারে উঠেছে। সেজন্য আমদানি বেশি হয়ে দাম কমে গেছে। এছাড়া টমেটো চাহিদা কম থাকায় ব্যবসাও কম হয়েছে। ধীরে ধীরে টমেটোর চাহিদা বাড়ার পাশাপাশি বাজার দরও বাড়ছে।
দিনাজপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক ড. তৌহিদুল ইকবাল বাংলানিউজকে জানান, চলতি মৌসুমে জেলার মোট ২ হাজার ৫শ হেক্টর জমিতে টমেটো চাষ করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। যার উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ৫৫ হাজার মেট্রিক টন টমেটো নির্ধারণ করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৪৫ ঘণ্টা, মে ১০, ২০১৮
এএটি