জানা গেছে, পাকা-আধাপাকা সয়াবিন পানিতে ডুবে গেছে। পঁচে যাচ্ছে কাঙ্ক্ষিত ফসল।
স্থানীয় কৃষকরা বাংলানিউজকে জানান, গত দুই মৌসুম (২০১৬ ও ২০১৭ সালে) ধরে কালবৈশাখীর মুখে পড়ছেন তারা। তাদের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এমনকি বীজও সংরক্ষণ করতে পারেননি। ফের চলতি মৌসুমেও ঝড়-বৃষ্টি। এতে এবারও আতঙ্ক কাটছে না তাদের।
সয়াবিনের রাজধানী হিসেবে খ্যাতি রয়েছে লক্ষ্মীপুরের। এ হিসেবে লক্ষ্মীপুরকে ব্র্যান্ডিংও করা হয়েছে ‘সয়াল্যান্ড’ নামে। দুই যুগেরও বেশি সময় ধরে এ জেলায় সয়াবিনের চাষ হয়ে আসছে। বছরের পর বছর বাম্পার ফলন হওয়ায় ব্যাপকভাবে সয়াবিন চাষ হয় জেলাটিতে। দেশের মোট উৎপাদনের ৮০ ভাগ সয়াবিন হয় এখানে। কম খরচে অল্প সময়ে অধিক ফসল ও বেশি লাভ হওয়ার কারণে চাষীদের সয়াবিনে আগ্রহ বেশি। কিন্তু গত দুই-তিন বছর ধরে ঝড়-বৃষ্টিতে সয়াবিন ঘরে তোলতে না পারায় চাষীরা সয়াবিন চাষে আগ্রহ হারাচ্ছেন। এভাবে সয়াবিনে আগ্রহ কমলে জেলা ব্র্যান্ডিংয়ে প্রভাব পরতে পারে বলে সংশ্লিষ্টদের মত।
লক্ষ্মীপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে লক্ষ্মীপুরের রামগতি, কমলনগর, রায়পুর ও সদর উপজেলার চরাঞ্চলে ৫০ হাজার ৫৭০ হেক্টর জমিতে সয়াবিন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ হয়েছিল। কিন্তু মৌসুমের শুরুতে অসময়ের তুমুল বৃষ্টির কারণে তা অর্জন হয়নি; আবাদ হয়েছে ৪১ হাজার ২৭০ হেক্টর। এখন তাও আবার ক্ষতির মুখে।
লক্ষ্মীপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ পরিচালক বেলাল হোসেন খাঁন বাংলানিউজকে বলেন, কয়েকদিন ধরে কালবৈশাখী ঝড়-বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে প্রত্যাশিত ফসল ঘরে তোলা সম্ভব হবে না। তাই পাকা সয়াবিন দ্রুত কাটতে কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১১৩৮ ঘণ্টা, মে ১০, ২০১৮
এসআর/টিএ