ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

কৃষি

দিনাজপুরে আমের রেকর্ড ফলন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৩৪৪ ঘণ্টা, মে ১৬, ২০১৮
দিনাজপুরে আমের রেকর্ড ফলন পাকার অপেক্ষায় দিনাজপুরের আম। ছবি: বাংলানিউজ

দিনাজপুর: বাংলাদেশের ‘লিচুর জেলা’ হিসেবে পরিচিত দিনাজপুরে এবার আমের রেকর্ড ফলন দেখা দিয়েছে। জেলার প্রায় প্রতিটি গাছের ডগায় সবুজ পাতার ফাঁকে ঝুলছে থোকা থোকা আম। 

এ বছর আমের রেকর্ড ফলন হওয়ায় অত্যন্ত খুশি স্থানীয় আম চাষিরা। গাছে ঝুলতে থাকা আম পরিপক্ব হওয়া পর্যন্ত পরিচর্যা করতে ব্যস্ত রয়েছেন তারা।

 

দিনাজপুরে সাধারণত গোপাল ভোগ, সূর্যপুরী, আমরুপালী, ল্যাংড়া, আসিনিয়া, ছাতাপড়া, ফজলী, চিনি ফজলী, সুরমাই, মসরকর্তি, মিশ্রি ভোগ ইত্যাদি জাতের আম চাষ হয়।  

সরেজমিনে জেলার বিভিন্ন উপজেলার আম বাগানগুলো ঘুরে দেখা যায়, সদর উপজেলা, বিরল, চিরিরবন্দর, ফুলবাড়ী, বোচাগঞ্জ, কাহারোল, পার্বতীপুর ও বীরগঞ্জে আমের ভারে হেলে পড়ছে অনেক গাছ। এরইমধ্যে কিছু কিছু গাছের আম পাকতে শুরু করেছে। বাজারেও উঠতে দেখা গেছে চলতি মৌসুমের আম।  

তবে গত কয়েকদিনের ঝড়-বৃষ্টিতে আম চাষের কিছুটা ক্ষয়ক্ষতি হয়, এমনটাই জানান আম চাষিরা। আগামীতে প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে এবার দিনাজপুর জেলায় আমের বাম্পার ফলন হবে বলে আশা করছেন তারা।  

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, চলতি মৌসুমে জেলার প্রায় চার হাজার হেক্টর জমিতে আম চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। জেলায় প্রতি মৌসুমে আম বেচা-কেনায় প্রায় ৪০ থেকে ৪৫ কোটি টাকার লেনদেন হয়। চলতি মৌসুমে গত বারের চেয়েও অনেক বেশি ফলন হয়েছে আমের। পরিপক্ব না হওয়া পর্যন্ত কৃষি বিভাগ চাষিদের সহযোগিতা চালিয়ে যাবে।  

জেলার কাহারোল উপজেলার রামচন্দ্রপুর এলাকার আম চাষি মো. মশফুল হোসেন বাংলানিউজকে জানান, চলতি মৌসুমের ফলন খুব ভালো। তবে আম না পাকা পর্যন্ত পরিচর্যা করে যেতে হবে। পোকা বা ছত্রাক আক্রমণ রোধে কৃষি বিভাগের পরামর্শ অনুযায়ী নিয়মিত স্প্রে করা হচ্ছে। অনুকূল আবহাওয়া থাকলে এবার দিনাজপুরে রেকর্ড পরিমাণের আমের বেচা-কেনা হবে।  

এদিকে গাছের আম পরিপক্ব হয়ে ওঠার আগেই জেলার সর্ববৃহৎ ফলের বাজার দিনাজপুর শহরের কালিতলা নিউ মার্কেটের ব্যবসায়ীরা শুরু করে দিয়েছেন আম বিক্রির প্রস্তুতি। চলছে বাজার ধোয়া-মোছার কাজ। এছাড়া আম বহন করার খাঁচা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন স্থানীয় হরিজনরা।  

দিনাজপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ ড. তৌহিদুল ইকবাল বাংলানিউজকে জানান, চলতি মৌসুমে আমের বাম্পার ফলন হয়েছে। কিন্তু এক মুহূর্তের প্রাকৃতিক দুর্যোগ সব স্বপ্ন ধ্বংস করে দিতে পারে। তাই প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে এবার আম চাষিরা বিশাল লাভের মুখ দেখবেন।  

তিনি আরও বলেন, মুকুল আসা থেকে আম পরিপক্ব হয়ে উঠা পর্যন্ত জেলার স্থানীয় কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা চাষিদের সহযোগিতা চালিয়ে যাবেন। আগামী দুই থেকে তিন সপ্তাহের মধ্যে প্রায় সব জাতের আম পরিপক্ব হয়ে বাজারে আসা শুরু করবে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৯ ঘণ্টা, মে ১৫, ২০১৮
এমআইআর/এনএইচটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।