পাইকারি বাজারে সপ্তাহখানেক আগেও যে আম কেজিতে ২০-২৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে এখন সেটার দাম ৩৫-৫৫ টাকা। চলতি মৌসুমে আমের চালান কমে যাওয়ায় দাম কমার সম্ভাবনা নেই।
রোববার (৮ জুলাই) সকালে সদরঘাটের বাদামতলির বিভিন্ন ফলের আড়ৎ ঘুরে এসব তথ্য জানা গেছে।
ব্যবসায়ীরা জানান, ঈদের পর থেকেই দাম কমে মৌসুমের সেরা সব জাতের আমের। কিন্তু এখন বেশ কিছু আমের সিজন প্রায় শেষ হওয়ার পথে। তাই কমে যাচ্ছে চালান। চাহিদা থাকা সত্ত্বেও আমের চালান না থাকায় বাড়তি দামেও কাটতি ভালো।
এ মূহূর্তে বাজারে থাকা আমের মধ্যে সবচেয়ে বেশি দামে বিকোচ্ছে আম্রপালি, সুরমা ও হাড়িভাঙ্গা। এ জাতের আম পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ৪৫-৫৫ টাকা কেজি দরে। যা দিনকয়েক আগে বিক্রি হয়েছে ২৮-৪০ টাকা কেজিতে। এই দুই জাতের আম আরও ১০-১৫ দিন বাজারে পাওয়া যাবে। অন্যদিকে অল্প অল্প করে বাজারে আসতে শুরু করেছে ফজলি। যা প্রতি কেজি পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ৪০-৪৫ টাকা কেজিতে। তবে এ আমের বিক্রি এখনও তেমন ভালোভাবে শুরু হয়নি। এছাড়া সামনের দিকে বাজারে আসবে আশ্বিনী জাতের আম।
আমের পাশাপাশি বাজারে দেখা গেছে অন্য মৌসুমী ও বিভিন্ন জাতের ফল। এর মধ্যে আনারস, পেয়ারা ও অন্য দেশি ফলের আধিক্য লক্ষ করা গেছে।
আমের দাম বৃদ্ধি সম্পর্কে জানতে চাইলে মায়ের দোয়া ফল আড়তের ম্যানেজার মুহাইমিনুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, বেশ কিছু আমের মৌসুম শেষের দিকে। ল্যাংড়া, সুরমা একদম শেষের দিকে। আর আম্রপালি ও হাড়িভাঙ্গা আরও ১০-১২ দিন পাওয়া গেলেও এর আমদানি অনেক কম। সামনে ফজলি ও আশ্বিনী জাতের আম আসবে। তবে আমের দাম কমার সম্ভাবনা কম।
ঢাকার রাস্তায় আমের খুচরা বিক্রেতা আবদুল আলীম বাংলানিউজকে জানান, আমের আমদানি কম। তাই ইচ্ছে করেই আড়তদাররা দাম বাড়িয়ে বিক্রি করছে। এতে বাড়তি দামে খুচরায় বিক্রি করতে হবে। তবে কম দামের বেলায় যা বিক্রি হতো এখন সেটা অনেক কমে যাবে।
বাংলাদেশ সময়: ১১৩৩ ঘণ্টা, জুলাই ০৮, ২০১৮
কেডি/আরআর