বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষিতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল্লাহেল বাকী জাত দু’টি উদ্ভাবন করেছেন। প্রায় পাঁচ বছর গবেষণা করে এ সফলতা পেয়েছেন বলে জানান তিনি।
নীল সাগর বীজ কোম্পানির গবেষণা বিভাগের সহযোগিতায় উদ্ভাবিত জাত দু’টি রবি ও খরিপ-১ মৌসুমে চাষ করা যাবে। দেশীয় জাতের চেয়ে উদ্ভাবিত জাত দু’টি খাটো। তাই ঝড়ে বা প্রবল বাতাসে ভেঙে পড়ার সম্ভাবনা নেই। জাত দু’টির গোড়া থেকে মোচার উচ্চতা ৬০ থেকে ৮৫ সে.মি.। ফলে ভুট্টার অন্যান্য জাতের চেয়ে উদ্ভাবিত জাত দু’টি মাটি থেকে বেশি পরিমাণে পানি ও পুষ্টি সংগ্রহ করে মোচায় সরবরাহ করতে পারে।
জাত দু’টির ট্রায়াল দেওয়া হয়েছে চুয়াডাঙ্গা জেলার জীবননগর এবং পঞ্চগড় জেলার দেবীগঞ্জে। জাত দু’টির রবি মৌসুমে বিঘা প্রতি গড় ফলন ৪৫ থেকে ৫০ মণ এবং খরিপ-১ মৌসুমে বিঘা প্রতি গড় ফলন ২৫ থেকে ৩৩ মণ পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন গবেষক আব্দুল্লাহেল বাকী।
গবেষক বাকী বাংলানিউজকে বলেন, জাত দু’টির ট্যাসেল (একটি আবরণ বিশেষ; যার ভেতর ভুট্টা হয়) খাড়া ও ছড়ানো। ফলে বৃষ্টির পানি ট্যাসেলে জমে থাকে না। এবং বীজের গঠন চোকা। তাই এর র্যাকিসে (ভুট্টার ভেতরে সাদা অংশ; যার উপরে ভুট্টা সারি সারি ভাবে বিন্যস্ত থাকে) বেশি সংখ্যক বীজ জন্মায়। ফলে লাভবান হবেন চাষি।
উদ্ভাবিত জাত দু’টি নিয়ে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের বহিরাঙ্গনের মাধ্যমে জাত দু’টি কৃষক পর্যায়ে ছড়িয়ে দেওয়া হবে। জাতগুলো নিয়ে এখন স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি’র শিক্ষার্থীরা গবেষণা করবেন। তাদের গবেষণা থেকে প্রাপ্ত ফলাফল পর্যালোচনা করে কৃষক পর্যায়ে বীজ সরবরাহ করা হবে।
পোল্ট্রি ফিডের জন্য বাংলাদেশ এখনও প্রতি বছর প্রচুর পরিমাণে ভুট্টা আমদানি করে। কৃষক পর্যায়ে উদ্ভাবিত জাত দু’টির চাষ বাড়ানো গেলে কৃষক লাভবান হবে বলে আশা প্রকাশ করেন ভুট্টা গবেষক বাকী।
বাংলাদেশ সময়: ০৩৪৫ ঘণ্টা, আগস্ট ০৯,২০১৮
জেডএস