জানা গেছে, কৃষকরা রবি ফসল ঘরে তোলেই আউশ ধানের আবাদ করেন। বৈশাখ মাসে জমিতে ধান বুনেছেন।
লক্ষ্মীপুরের কৃষকরা যথাসময়ে ধানের আবাদ করেছেন, আবহাওয়া অনুকূলে ছিল। রোগবালাই ও পোকামাকড় আক্রমণ না করাই বাম্পার ফলন হয়েছে। ভালো ফলনে তারা খুশি। ভালো দাম পেলে ফুটবে মুখের হাসি।
স্থানীয় কৃষকরা জানান, রবি ফসল (বাদাম, সয়াবিন, মরিচ ও ডাল জাতীয়) ফসল ঘরে তোলেই আউশের আবাদ করতে হয়। যে কারণে আউশ ক্ষেতে প্রচুর আগাছা জমে। জমি ফসলের জন্য উপযোগী করতে ও ভালো ফলনের জন্য উৎপাদন খরচ বেড়ে যায়। তাতে আউশ আবাদ কম হয়। এবার ভালো ফলন হওয়াতে-আগামীতে আউশের আবাদ আরও বাড়বে বলে মনে করছেন তারা।
রামগতি উপজেলা উপ-সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা মো. ছালেহ উদ্দিন পলাশ বাংলানিউজকে বলেন, চলতি মৌসুমে আউশের বাম্পার ফলন হয়েছে। হেক্টর প্রতি উফশী জাতের ৪ থেকে ৫ মেট্রিক টন, স্থানীয় জাতের ২ থেকে ২ দশমিক ৩৫ মেট্রিক টন ধান উৎপাদন হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
লক্ষ্মীপুর কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে জেলায় ২৮ হাজার ৪৯০ হেক্টর জমিতে আউশ ধানের আবাদ হয়েছে। লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলায় ৩ হাজার ৭১৫ হেক্টর জমিতে আউশ মৌসুমের ধান চাষ করা হয়। এরমধ্যে হাইব্রিড ১০ হেক্টর, উফশী ৩ হাজার ১৯০ হেক্টর, স্থানীয় ৫১৫ হেক্টর। রায়পুরে উফশী জাতের ৪ হাজার হেক্টর। রামগঞ্জে একই জাতের ৫০০ হেক্টর। রামগতিতে ৮ হাজার ৫০০ হেক্টর, এরমধ্যে ৮ হাজার ২০০ উফশী, ৩০০ হেক্টরে স্থানীয় জাতের ধান।
এদিকে কমলনগরে ১১ হাজার ৬৭৫ হেক্টর জমির মধ্যে ১০ হাজার ৪০০ হেক্টরে উফশী ও স্থানীয় জাতের ১ হাজার ২৭৫ জমিতে আউশের আবাদ করা হয়।
লক্ষ্মীপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক মো. বেলাল হোসেন খাঁন বাংলানিউজকে বলেন, ভালো ফসল উৎপাদনের জন্য কৃষিবিভাগ কাজ করছে। উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা মাঠে গিয়ে কৃষকদের পরামর্শ দিয়ে আসছে। আবহাওয়াও অনুকূলে ছিল যে কারণে আউশ ধানের ভালো ফলন হয়েছে।
আউশ শব্দের অর্থ আগাম। ৮০ থেকে ১২০ দিনের ভেতর এ ধান পেকে যায় বলে এই নামে ডাকা হয়। দ্রুত (আশু) ফসল উৎপন্ন হওয়ার বিচারে এই ধানের নাম করা হয়েছে আউশ। মূলত আউশ একটি মৌসুমের নাম। এ ধান পরিবেশ ও কৃষকবান্ধব। আউশ ধান বৃষ্টি নির্ভর ধান।
বাংলাদেশ সময়: ০৯১৮ ঘণ্টা, আগস্ট ১১, ১০১৮
এসআর/এএটি