শুক্রবার (১০ আগস্ট) বিকেলে লক্ষ্মীপুরের সবচেয়ে বড় সুপারির হাট দালাল বাজার গিয়ে দেখা যায় সুপারির জমজমাট হাট। স্থানীয়রা বাজারে সুপারি উঠিয়েছেন।
স্থানীয়রা জানান, সুপারি পাকতে শুরু করেছে। গাছ থেকে সুপারি সংগ্রহ করা হচ্ছে। মৌসুমের শুরুতে বেশ দাম পাওয়া যায়। ওই বাজারের বিক্রেতারা জানান, তাজা সুপারির চাহিদা থাকায় দাম বেশি। লক্ষ্মীপুরের সুপারি দেশের বিভিন্ন জেলায় নিয়ে তারা বিক্রি করেন।
বাগান মালিকরা বাংলানিউজকে জানান, সুপারি উৎপাদনে খরচ কম। একবার গাছ লাগালেই হলো। গাছের তেমন পরিচর্যা করতে হয় না। অন্যান্য ফসলের চেয়ে অধিক লাভ। চাহিদা বেশি থাকায় প্রত্যাশিত দামও পাওয়ায় যায়। যে কারণে জেলার বিভিন্ন এলাকায় সুপারি চাষ বেড়েছে। তবে নদী ভাঙনে রামগতি ও কমলনগরে সুপারির গাছ ও বাগান কমছে। জেলার উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সঠিকভাবে চারা লাগালে ও যত্ন নিলে ছয় থেকে সাত বছরে সুপারির ফলন আসতে শুরু করে। তবে বেশি ফলন ধরে ১০ থেকে ১২ বছরের পর থেকে। সুপারি গাছ ২০ থেকে ২৫ মিটার পর্যন্ত লম্বা হয়ে থাকে। একটি গাছে বছরে ৩ থেকে পাঁচটি ছড়া আসে। গাছে ফুল আসার পর ৯ থেকে ১০ মাস লেগে যায় ফলন পাকতে। প্রতি ছড়াতে ৫০ থেকে ১৫০টি পর্যন্ত সুপারি থাকে। আগস্ট থেকে সুপারি পাকতে শুরু করে। মার্চ পর্যন্ত সুপারি সংগ্রহ চলে। এতে হেক্টর প্রতি ১ থেকে ৭ মেট্রিক টন পর্যন্ত শুকনো সুপারি পাওয়া যায়।
লক্ষ্মীপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে চলতি বছর লক্ষ্মীপুর জেলায় প্রায় ৬ হাজার ২০০ হেক্টর জমির গাছ থেকে সুপারি সংগ্রহ করবে স্থানীয়রা।
লক্ষ্মীপুর কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক মো. বেলাল হোসেন খাঁন বাংলানিউজকে বলেন, সুপারি একটি অন্যতম বাণিজ্যিক ফল-ফসল। জেলার প্রতিটি আবাসেই এর দেখা মেলে। অযত্ন অবহেলায় বেড়ে উঠলেও পরিবারের সচ্ছলতার পেছনে এর অবদান অনস্বীকার্য। সুপারি গাছ লাগিয়ে কেবল পারিবারিক চাহিদা পূরণ নয়। বাড়তি আয়ের জন্য করা হয়। সুপারি চাষ, পরিচর্যা, ফসল সংগ্রহ ও সংরক্ষণের বিষয়ে কৃষি বিভাগ প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়ে আসছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫১ ঘণ্টা, আগস্ট ১১, ২০১৮
এসআর/এএটি