বানিয়াচং উপজেলাজুড়েই চোখে পড়ে কচু। বানিয়াচং উপজেলাটি ‘কচু’র এলাকা হিসেবেও পরিচিত হবিগঞ্জসহ আশপাশের জেলাবাসীর কাছে।
কচু গাছের কিছুই সেভাবে ফেলনা নয়। এর ডাটা, পাতা, গোড়া এবং লতি সবই খাওয়া যায়। বিক্রিতে মুনাফা থাকায় উপজেলার বিভিন্ন স্থানে কচু আবাদ করা হয়।
বানিয়াচংয়ের সোনাই মিয়া হাটি এলাকার বাসিন্দা মোতাহের মিয়া বাংলানিউজকে জানান, আগে তাদের বাড়ির আশপাশে আগাছার মতো জন্মাতো কচু গাছ। সেই কচু নিজেরা খাওয়ার পর বিক্রি করা যেত বাজারেও। কিন্তু বর্তমানে কচু চাষ করতে হয় তাদের। যদিও কচু চাষে কোনো খাটুনি নেই। বিনা খাটুনিতে কচু বিক্রি করে বার্ষিক অন্তত ২০ হাজার টাকা আয় হয় তার।
জাতুকর্ণপাড়ার বাসিন্দা পিয়ারা খাতুন বাংলানিউজকে জানান, কচু শাকের ডাটা, মোড়া এবং লতা শুটকিসহ বিভিন্ন মাছ দিয়ে রান্না করলে দারুণ সুস্বাদ হয়।
তিনি আরো জানান, অন্যান্য এলাকা থেকে তাদের বাড়িতে মেহমান এলে ফেরার সময় কচু শাক নিয়ে যান। অনেক সময় শহরে বসবাসরত আত্মীয়-স্বজনদের জন্য পাঠাতে হয় কচু শাক।
বৃন্দাবন সরকারি কলেজের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সুভাষ দেব বাংলানিউজকে বলেন, কচু শাকের বৈজ্ঞানিক নাম Colocasia esculenta। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ থাকায় রাতকানা ও চোখে ছানি পড়া রোগ প্রতিরোধে কাজ করে। এছাড়া কচুতে থাকে প্রচুর আয়রন। যে কারণে শরীরে হিমোগ্লোবিন কমে গেলে চিকিৎসকেরা রোগীকে কচু শাক খাওয়ার পরামর্শ দেন। এতে রয়েছে ভিটামিন বি এবং সি। যা মানুষের ত্বকের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ করে। কচুতে প্রচুর পরিমাণ পটাসিয়াম থাকায় হৃদরোগের ঝুঁকি কমায় কচু শাক। ১০০ গ্রাম কচুতে ৫৬ কিলোক্যালরি খাদ্যশক্তি থাকে।
তিনি বলেন, কচুর একটি খারাপ দিক রয়েছে। এতে ক্যালসিয়াম অক্সালেট রয়েছে। যা খাওয়ার সময় গলার নরম অংশে বিঁধে গিয়ে চুলকানি হতে পারে। এছাড়া এলার্জিও হতে পারে কারও কারও।
বাংলাদেশ সময়: ১০১৪ ঘণ্টা, আগস্ট ২৭, ২০১৮
এসআই